প্রথমবারের দলীয় প্রতীকে হতে যাওয়া এই নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য আরও ‘সময় প্রয়োজন’ বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের এই শরিক।
এই নির্বাচন পেছাতে বিএনপির দাবি জানানোর কয়েক ঘণ্টার মাথায় এক বিবৃতিতে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এই দাবি জানান।
একই সঙ্গে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
এর আগে সকালে ভোট ১৫ দিন পেছানোসহ কয়েকটি শর্ত দিয়ে পৌরসভা নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয় গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা দল বিএনপি।
বিএনপির অন্য শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- অবিলম্বে ‘গণগ্রেপ্তার’ বন্ধ করা, ‘মিথ্যা মামলায়’ আটক নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মুক্তি দেওয়া, পৌর এলাকায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ওসিদের বদলি করা, ৫০ লাখ নতুন ভোটারকে এ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া এবং কেবল নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজের অনুমতি দেওয়া।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট হতে যাচ্ছে দলের মনোনয়নে, দলের প্রতীকে।
২৩৬ টি পৌরসভায় এ নির্বাচন করতে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রেখে ইতোমধ্যে তফসিল দিয়েছে ইসি। তাতে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিলের কথা বলা হয়েছে।
ঠিক সময়ে মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনও ‘সঠিকভাবে’ প্রস্তুত নয় অভিযোগ করে ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, “নির্বাচন কমিশন পৌরসভা নির্বাচন এবং বিশেষ করে নির্বাচন আচরণ বিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে সামান্যতম মতবিনিময় করে নাই।”
“কেবল তাই নয়, পৌরসভা নির্বাচন, আচরণ বিধি এবং নির্বাচন সংক্রান্ত সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন বক্তব্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।”
ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করছে, “আইনি বাধ্যবাধকতার কথা বলে তাড়াহুড়ার মাধ্যমে এই নির্বাচন করা হলে দলীয়ভাবে নির্বাচন করার যে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এই নিয়ে আরও বিভ্রান্তি হবে।”
ওয়ার্কার্স পার্টি সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা করতে নির্বাচন কমিশনে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিবৃতিদাতারা উল্লেখ করেন।
একই সঙ্গে দলীয়ভাবে এই পৌর নির্বাচন আয়েজানের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো মতামত বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বানও জানায় দলটি।