সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার চ্যান ফেংজিয়াং বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে এ প্রস্তাব দেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজায়’ এই সাক্ষাতের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির সঙ্গে ‘দলগত সম্পর্ক’ জোরদার করতে চায় চীনা কমিউনিস্ট পার্টি।
তিনি বলেন, তিনটি প্রক্রিয়ায় এই ‘দলগত সম্পর্ক’ শক্তিশালী করা হবে।
প্রথমত, দুই দলের নেতাদের মধ্যে ‘এক্সচেঞ্জ ভিজিট’। দ্বিতীয়ত, দুই দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু।
তৃতীয়ত, “আমরা এখান থেকে গিয়ে তাদের উন্নয়নে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে যাতে আমরা লেখা-পড়া করতে পারি, আমাদের গবেষণা চলে তার ব্যবস্থা করা, যাতে আমরা আমাদের থিঙ্কট্যাঙ্ক শক্তিশালী করতে পারি।”
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা এই প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে মঈন খান বলেন, “এই প্রস্তাব তারা (চীন) দিয়েছে। আমরা তার সঙ্গে একমত হয়েছি।”
“পাশাপাশি দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে তার ফলশ্রুতিতে অর্থনীতি-সমাজনীতি এবং এদেশের নিরাপত্তা বিষয়ক যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারে, তাও আলোচনায় উঠে এসেছে।”
বিএনপি নেতা মঈন খান বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে চীনের সহযোগিতায় আমাদের সামরিক বাহিনীর উন্নয়ন হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পুনরায় ক্ষমতায় আসলে সেই সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।”
চ্যান ফিংজিয়াং নেতৃত্বাধীন ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াংও বৈঠকে ছিলেন।
মঈন খান ছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক, রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।