হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে রাজপথে আওয়ামী লীগ

যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মো. মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে হরতাল ডাকলেও জামায়াতে ইসলামীর কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি, বরঞ্চ হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে রাজপথ দখলে নিয়ে রেখেছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2015, 11:49 AM
Updated : 23 Nov 2015, 01:45 PM

হরতাল প্রত্যাখ্যান করে সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল-সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন। এই কর্মসূচি থেকে দুই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে সন্তোষও প্রকাশ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, জাতীয় প্রেসক্লাব, শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, গুলিস্তান ও পুরানা পল্টন এলাকায় সকাল থেকে অবস্থান ছিল সরকার সমর্থকদের।

সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়। সেখানে থেকেই হরতালবিরোধী স্লোগান চলে।

সকাল ১১টার দিকে হরতালবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর যুবলীগ (দক্ষিণ)। ইসমাইল হোসেন সম্রাটের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।

এরপর প্রতিবাদ সমাবেশ করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ। কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথের নেতৃত্বে এরপর মিছিল করে তারা।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে মিছিল বের করে আশেপাশের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ করে। 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হরতালের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, তালুকদার মো. ইউনুস এমপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় কমিটি ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনগুলো প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

এসব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এ বি তাজুল ইসলাম এমপি, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সদস্য সচিব শরীফ উদ্দিন, মহাসচিব কল্যাণ আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়েজিত আহমেদ খানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে জিপিও, পল্টনসহ বিভিন্ন সড়ক ঘোরে।

সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুল হক রেজার নেতৃত্বে মিছিল বের হয়।

আওয়ামী ওলামা লীগ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইটের সামনে মানববন্ধন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।

দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল-সমাবেশ করে ছাত্রলীগ।

সকালে ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে বনানী, সাত রাস্তা, মহাখালী, ফার্মগেইট ও পান্থপথ এলাকায় হরতালবিরোধী মিছিল হয়।

ঢাকার বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হরতালবিরোধী মিছিল বের করে।