পুলিশের দাবি, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের ‘সহযোগী’ নয়ন বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘গুলিবিনিময়ে’ আহত হন।
পুলিশের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে রাতে ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান একটি বিবৃতি পাঠান।
এতে বলা হয়, “দুপুর ১২টায় রবিউল ইসলাম নয়ন মগবাজারে আদদ্বীন হাসপাতালে রোগী দেখে ফেরার পথে সাদা পোশাকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং নিকটস্থ বৈকালী আবাসিক হোটেলের একটি রুমে নিয়ে সরাসরি তার পায়ে গুলি করে।”
বিবৃতিতে তারা নয়নকে ‘গুলি করে পঙ্গু’ করে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের ‘দলীয়’ আখ্যা দিয়ে তাদের বিচারও দাবি করেন।
“ছাত্র দলের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ এভাবে নির্যাতন অব্যাহত রাখলে শিগগির ছাত্র সমাজকে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে,” হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, মগবাজারের বৈকালী হোটেলের চতুর্থ তলার ৩০৪ নম্বর কক্ষ থেকে নয়নকে গ্রেপ্তার করার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা হোটেলের চতুর্থ তলার ৩০৪ নম্বর কক্ষে অনেকক্ষণ কড়া নাড়ার পর হাতে পিস্তল তাক করে নয়ন দরজা খুলতেই পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হলে সে আহত হয়। তাকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।”
নয়নের বিরুদ্ধে কলাবাগান, রমনা ও মাগুরা থানায় চাঁদাবাজি ও নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে জানান ওসি।