সরকারের কারণে খুনিরা আড়ালে: নোমান

দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, সরকারের নিরপেক্ষতার অভাবে ‘প্রকৃত খুনিরা’ পার পেয়ে যাচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2015, 03:51 PM
Updated : 7 Oct 2015, 03:51 PM

বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

নোমান বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে গুম-খুন একটি নিত্যনৈমিত্তিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিগণিত হয়ে গেছে। বিদেশিদের বক্তব্যে যেটা ইতোমধ্যে বলা হয়ে গেছে, আমি শুধু এইটুক বলব, একটি দেশে বিচ্ছিন্নভাবে বিচ্ছিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খুন-খারাবি হতে পারে।

“কিন্তু সেই খুন-খারাবিতে সরকারের যে ভূমিকা তা যদি নিরপেক্ষভাবে যথাযথভাবে পালন না করে, তাদের উপর যদি জনগণের অনাস্থা আসে, তাহলে তৃতীয়পক্ষ যারা খুন ও মৃত্যুর প্রচেষ্টা চালায় তারা কিন্তু আড়ালে থেকে যায়।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী অনেক বক্তব্য দিতে পারেন। সাগর-রুনি হত্যার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের বের করার কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ১২ ঘণ্টায়ও সেটা বের করার কথা বলতে পারেননি। ওই ২৪ ঘণ্টায় যেমন হয়নি, এখনো সেটা হবে না।

“তার কারণ এই খুনিরা সরকারি মদদে, সরকারি আইনের আড়ালে তারা অবস্থান করছে। কাজেই তাদেরকে ধরার সাহস প্রশাসনের অথবা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের নেই।”

দলের পূর্ণগঠনে সরকার নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন আবদুল্লাহ আল নোমান।

“দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যখন আমাদের দলকে পুনর্গঠিত করার চেষ্টা হচ্ছে, তখন সরকার তা করতে দিচ্ছে না। আমাদের ন্যূনতম সুযোগ সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে দিচ্ছে না। আজকের পত্র-পত্রিকায় দেখলাম, সম্মেলন করার জন্য ভোলায় নিজেরা ঘরের ভেতরে ১৮ জন সভা করছিলেন। তাদের সবাইকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আন্দোলন মানে শুধু সশস্ত্র আন্দোলন নয়। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বুলেটের চেয়েও বড় শক্তি ব্যালটের ক্ষমতা। সেজন্য আমরা ব্যালটে বিশ্বাস করি বলি সরকার ভোটের অধিকার মানুষকে দিতে চায় না। তাদের দুঃশাসন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের লড়াই-আন্দোলন সফল হবেই হবে।”

নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হুমায়ুন ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।