এর পিছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যা ও ক্ষমতাচ্যুত’ করার দূরাভিসন্ধি রয়েছে বলেও মনে করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানে ইতালীয় ত্রাণকর্মী চেজারে তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর সপ্তাহ না হতেই শনিবার রংপুরের মাহিগঞ্জে মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও।
এ প্রসঙ্গে কারও নাম উল্লেখ না করে শাজাহান খান বলেন, “রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য যারা এতদিন মানুষ হত্যা করে ও পেট্রোলবোমা মেরে ব্যর্থ হয়েছে, তারা আন্তর্জাতিকভাবে এ দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে পরিকল্পিতভাবে বিদেশিদের হত্যা করছে।”
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী জোট চলতি বছরের প্রথম তিন মাস সারা দেশে অবরোধ-হরতাল করে। তাদের কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ-পেট্রোল বোমায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়।
মাদারীপুরের রাজৈরের বাজিতপুরে ‘সাধুর ব্রিজ আরএন্ডএইচ-কলাগাছিয়া বাজার’ সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন শেষে শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “রংপুরে নিহত ওই বিদেশি নাগরিকের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে কারও বিরোধ নেই। অথচ রাস্তায় হাঁটার সময় তাকে কেন হত্যা করা হবে? এতেই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে কাজ করছে তারা।”