দুদকের মামলায় খোকাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

দোকান নির্মাণ ও বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2015, 04:49 PM
Updated : 29 Sept 2015, 04:49 PM

দুদকের সহকারী পরিচালক শেখ আবদুস সালাম ঢাকার মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতের প্রসিকিউটিং বিভাগে মঙ্গলবার এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রে খোকা ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক সম্পত্তি কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন মোড়ল, অবসরপ্রাপ্ত সম্পত্তি কর্মকর্তা সাহাবুদ্দিন সাবু, সম্পত্তি বিভাগের কানুনগো মোহাম্মদ আলী, সার্ভেয়ার মুহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, ফারুক হোসেন ও মোতালেব হোসেনের নাম রয়েছে।

এতে অবিভক্ত ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র খোকাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে বঙ্গবাজার ও ঢাকা ট্রেড সেন্টারের কার পার্কিংয়ের স্থান এবং খোলা জায়গায় দোকান নির্মাণের পাশাপাশি বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।

সাদেক হোসেন খোকা মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালে তার সমর্থন নিয়ে পরস্পর যোগসাজশে বেআইনিভাবে দোকান নির্মাণ ও বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৪ সালের ২৪ অগাস্ট খোকাসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় এই মামলা করে দুদক।

মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মশিয়ার রহমানের নাম থাকলেও অভিযোগপত্র থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

দুদক প্রসিকিউটিং বিভাগের কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র চন্দ সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষে ১৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

“জমা হওয়া অভিযোগপত্রটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য বুধবার সংশ্লিষ্ট মহানগর হাকিমের কাছে উপস্থাপন করা হতে পারে। ”

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা ডিসিসির নীতিমালা লঙ্ঘন করে স্থায়ী মার্কেট দুটির কার পার্কিং ও খোলা জায়গায় দোকান নির্মাণ করেন এবং পরে পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি করে ৪৯৩টি দোকান প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা মাসিক হারে বিভিন্ন জনের কাছে বরাদ্দ দেন।

ডিসিসি’র সম্পত্তি (এস্টেট) বিভাগের ২৫২৫ নাম্বার নথিতে নোটশিট পরিবর্তন করে ওই দুই মার্কেটের ৪৯৩টি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, অনিয়ম ও দুনীর্তি করে বঙ্গবাজারে অস্থায়ী বরাদ্দের মূল কপি গায়েব করে ফটোকপি সংরক্ষণ করা হয়। কানুনগো মোহাম্মদ আলী দোকান বরাদ্দের নথির নোটে প্রতি বর্গফুটের ভাড়া ১০ টাকা উল্লেখ করেছিলেন। পরে তা অনুমোদন করেন সাবেক প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান।

এরপর সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা প্রতি বর্গফুটের ভাড়া ১৫ টাকা নির্ধারণ করলেও তারা কিসের ওপর ভিত্তি করে মাসিক ভাড়ার এই হার নির্ধারণ করেছেন, তার কোনো ব্যাখ্যা কোথাও দেয়া হয়নি।