আইনের প্রতি সরকারের শ্রদ্ধায় সমর্থন বেড়েছে: কামরুল 

শেখ হাসিনা সরকার আইনের প্রতি ‘শ্রদ্ধাশীল’ বলেই জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2015, 04:10 PM
Updated : 4 Sept 2015, 04:10 PM

শুক্রবার রাজধানীতে সমকালীন প্রেক্ষাপট ও বর্তমান রাজনীতি নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)বুধবার এক মতামত জরিপের ফল প্রকাশ করেছে, যাতে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের সমর্থন বাড়ছে বলে উঠে এসেছে।

বিষয়টি তুলে ধরে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল বলেন, “আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার ফলেই সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। দেশে উন্নয়ন হচ্ছে এটার প্রমাণ এই জরিপ।

জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির পর গত দেড় বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রতি জনসমর্থন যথাক্রমে ৬৭ ও ৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে।

উত্তরদাতাদের ৬০ শতাংশ বলেছেন, তারা আওয়ামী লীগকে পছন্দ করেন। আর বিএনপিকে যত লোক পছন্দ (৪২ শতাংশ) করার কথা বলেছেন, তার চেয়ে অপছন্দ (৪৬ শতাংশ) করার কথা বলেছেন বেশি উত্তরদাতা।

তবে এ জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৩ শতাংশ বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব’ বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন হওয়া উচিৎ। অন্যদিকে ৪০ শতাংশ উত্তরদাতা বর্তমান সংসদকে পূরো মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে দেওয়ার পক্ষে বলেছেন।

তবে অন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের মতো খাদ্যমন্ত্রী কামরুলও এদিন বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো ‘সম্ভাবনা নেই’। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিজের ‘কৃত কর্মের বিচার’ থেকে বাঁচতেই খালেদা জিয়া ‘ঐক্যের রাজনীতির’ ডাক দিয়েছেন।

“বেগম খালেদা জিয়া পেট্রোল বোমা মেরে যে অপরাধ করেছেন তাতে তিনি বিচারের মুখোমুখি হবেন। তাই আইনের হাত থেকে বাঁচতেই তার এতো কাকুতি মিনতি।

কামরুল বলেন, “তার (খালেদা) প্রত্যেকটি অপরাধের বিচার হবে। এই অপরাধে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, সে যে দলের হোক, যত বড় নেতাই হোক তার বিচার হবে।”

শিল্পকলা একাডেমীতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জমান, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, শাহজাহান আলম সাজু, সংসদ সদস্য তালুকদার মো. ইউনূস, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।