আগামী ১৬ অক্টোবর রাজধানী থেকে সুন্দরবন অভিমুখে তিনদিনব্যাপী এই রোডমার্চের যাত্রা শুরু হবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বামপন্থি কয়েকটির সংগঠনের এই মোর্চার জাতীয় সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সমন্বয়কারী সাইফুল হক।
মোর্চার প্রস্তাবনা তুলে ধরে সাইফুল হক বলেন, “আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন মোকাবেলা করে গণআন্দোলন করে দলটিকে পরাজিত করা, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং অগ্রহণযোগ্য সংসদ ভেঙে দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
ক্ষমতাসীনদের দমন-পীড়ন এবং বিচারবর্হিভূত হত্যা বন্ধ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানান তিনি।
জঙ্গিবাদী-মৌলবাদী সন্ত্রাসী তৎপরতা, সাম্প্রদায়িকতা ও সম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধ করা এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দাবি জানান সাইফুল।
রামপালে বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করে দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা মোকাবেলারও আহ্বান জানান বাম মোর্চার এই নেতা।
সম্মেলনে বাম মোর্চার নেতারা সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন এবং বাম দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে অংশ নিয়ে জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক চিন্তার পরিবর্তন আনার আহ্বান জানান তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহম্মদ।
তিনি বলেন, “আমরা একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে আছি; কিন্তু উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে।”
সরকারের নীতিকে ‘জনস্বার্থবিরোধী’ হিসেবে উল্লেখ তিনি বলেন, তেল-গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সরকার জনগণের ঘাড়ে বোঝা চাপিয়ে অন্যদের কাছে আস্থা অর্জন করছে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার বন্দোবস্ত করছে।
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, “শেখ হাসিনাকে মাহাথির মোহাম্মদ বানানোর জন্য জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করেনি।”
বিরোধীদের উপর দমন-নিপীড়ন চালিয়ে ‘একদলীয় শাসন’ কায়েমের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সেনাসমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন নিয়ে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা গঠিত হয়।