তিনি বলেছেন, “দেশ এখন মোটামুটি একদলীয় শাসনের মতোই চলছে। যদি সকল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য না হয়, শুধু বিএনপির একার পক্ষে আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে।”
তারেক রহমানের অষ্টম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার একথা বলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ।
খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তারের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিন মুক্তি পান। এরপর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান তারেক।
গণতন্ত্রহীনতার বিপদ তুলে ধরে সাবেক মন্ত্রী মওদুদ বলেন, “একক রাজনীতি যদি চলে তাহলে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান অবধারিত। এই জঙ্গিবাদ দমনের একমাত্র ঔষধ হল গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে শক্তি অর্জন করা।”
গণতন্ত্র ফিরে আসার ওপরই তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন নির্ভর করছে, বলেন তিনি।
“এখন যদি পরিবেশ থাকত, আমরা তাকে (তারেক) বলতাম- আপনি দেশে চলে আসেন। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিবেশ নেই। সুতরাং ওই রকম পরামর্শ দেওয়াটাও ঠিক হবে বলে আমি মনে করি না।”
সভায় বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “তারেক রহমানকে ভয় পায় বলেই সরকার তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ১/১১ এর আগের থেকে তার বিরুদ্ধে সেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, এখনও চলছে।”
আলোচনা সভার আগে তারেক রহমানের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয় সভায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, কলামনিস্ট মাহফুজউল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনে, স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন বক্তব্য রাখেন।