বুধবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচির দিন ৬ সেপ্টেম্বর পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়।
তার আগে বিকালে ইমেইলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৫ সেপ্টেম্বর সারাদেশে ২০ দলের বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছিল।
৫ সেপ্টেম্বর হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী হওয়ায় সেদিন বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা ওঠে। সংসদে বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ এই কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি তোলেন।
এর মধ্যেই নজরুলের ইমেইল আসে, যাতে কর্মসূচি পেছানোর কথা জানানো হয়। তবে পেছানোর কোনো কারণ ‘সংশোধিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে’ উল্লেখ করেননি তিনি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জন্মাষ্টমীর কারণে ৬ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে।”
সংসদে বক্তব্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পঙ্কজ বলেন, “ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন, এটা আমাদের বড় একটা উৎসব। মুসলমানদের ঈদের মতো। এই দিনে কর্মসূচি দেওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার শামিল। আমরা এই কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।”
বিএনপির কর্মসূচি উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ‘যৌক্তিকভাবেই’ বাড়ানো হয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার, যা সেপ্টেম্বর থেকেই কার্যকর হচ্ছে।
এর বিরোধিতা করে বিএনপি বলছে, “সরকার কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার দায় জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য এই গণবিরোধী, অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
সরকারের ‘গণবিরোধী’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, “এটা না করা হলে আগামী ডিসেম্বর আবার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করবে সরকার।”
গত রোববার খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।