এ কে এম মোশাররফের গ্যাটকো মামলা চলবে

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপি নেতা এ কে এম মোশাররফ হোসেনের করা আবেদন খারিজ করে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2015, 08:34 AM
Updated : 1 Sept 2015, 11:15 AM

এই রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সাবেক এই জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জরুরি অবস্থার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এই মামলা বাতিল চেয়ে মোশাররফের আবেদনে সাত বছর আগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সে সময় জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও এসএম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেয়। 

এর ফলে নিম্ন আদালতে মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে নিতে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে রায়ের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলাম খান জানান।

অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে এ মামলার বৈধতা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুটি আবেদনও হাই কোর্ট খারিজ করে দেয়। মামলার স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকেও বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় গত ৫ অগাস্ট দেওয়া ওই রায়ে।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাবেক চার দলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেঁজগাও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।

মামলা হওয়ার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর এ কে এম মোশাররফসহ নতুন ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।

মামলাটি বাতিলের জন্য ২০০৮ সালে হাই কোর্টে আবেদন করেন এ কে এম মোশাররফ। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছর ১৩ অগাস্ট হাই কোর্ট তার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে।

সেই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত। ওই সময়ই সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে জামিন দেওয়া হয়।

স্থগিতাদেশের কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নেয় দুদক। সাত বছর আগে দেওয়া সেই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে সোমবার রায় দিল আদালত।

এদিন মোশাররফের পক্ষে তার আইনজীবী এম শাহ আলম ও ইভা আলম আদালতে ছিলেন।