সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “এটা যদি শুধু একটি শব্দে বলি দুঃখজনক, তাহলে শেষ হয় না। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আজ ছাত্রলীগের হাতে শিক্ষকরা লাঞ্ছিত হচ্ছে।
সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ এভাবেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এবং শিক্ষকদের ‘গুরুদক্ষিণা’ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রোববার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয়সভার পর এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
আসাদুজ্জামান রিপন অভিযোগ করেন, “আমাদের শিক্ষক সমাজ আজ শাসকদলের হাতে নিযার্তিত হচ্ছে। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সহধর্মিনী ড. ইয়াসমীন হক ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন, তা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না।”
“এই নির্যাতনের খবর যখন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে তখন আমাদের দেশের ভাবমূর্তি কোথায় থাকে। এতে শুধু কী ড. ইয়াসমীন হকের সম্ভ্রম নষ্ট হয়েছে? এতে কী দেশের ইজ্জত নষ্ট হয়নি?”
হামলা চলাকালে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের কাছে পুলিশের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন রিপন।
“পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত আলোকচিত্রে দেখলাম- আমাদের অসহায় পুলিশ অফিসারকে তাদের কাছে (ছাত্রলীগ) হাতজোর করে ক্ষমা চাইতে হয়, আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা শাসক দলের কাছে কতটা অসহায় একটি ছবিতেই সেটা ফুটে উঠেছে।”
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বাঁধা
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে রক্তদান কর্মসূচির প্যান্ডেল করা হলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তা ভেঙে দিয়েছে।
“এভাবে সারাদেশে আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এবার নানা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালন করতে যাচ্ছি।”
দেশের ৫০টি জেলা ও ৫০০ উপজেলায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।