এই সময়ের মধ্যে বর্ধিত দাম প্রত্যাহার না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাম দল দুটির নেতারা।
সোমবার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এই হুঁশিয়ারি দেন।
সিপিবি-বাসদের নেতা-কর্মীরা সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পরে তারা জালানি মন্ত্রণালয়ের সামনেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, “আমরা সিপিবি-বাসদের পক্ষ থেকে অন্য দলকেও এই গ্যাস-বিদ্যুতের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।”
সাত দিনের মধ্যে দাবি না মানলে ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তিনি।
ওই অবস্থান কর্মসূচি থেকে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান আবু জাফর।
খালেকুজ্জামান বলেন, “ব্যারিকেড দেওয়াই প্রমাণ করে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী। আর সরকার আমাদের সঙ্গে বসতে চায় না।”
সরকারের সমালোচনা করে বাসদের এই নেতা বলেন, “আপনাদের দলের সংগঠনের নামধারী সন্ত্রাসীরা আজ শিক্ষকদের মারধর করছে, লুটপাটের জন্য নিজেরা নিজেদের দলের কর্মী খুন করছে। অন্যদিকে উপর তালায় বসে কলমের খোঁচায় হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে দলের কর্তারা।”
সমাবেশে সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বক্তব্য রাখেন।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে; যা সেপ্টেম্বর থেকেই কার্যকর হবে।