গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে বিএনপি, কর্মসূচি নেই

সংবাদ সম্মেলন করে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিরোধিতা বিএনপি করলেও কোনো কর্মসূচি দেয়নি বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2015, 10:02 AM
Updated : 29 August 2015, 10:07 AM

“এ বিষয়ে আমাদের দলের নীতি-নির্ধারকরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন,” কর্মসূচির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন দলটির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন।

গ্যাসের দাম ২৬ শতাংশ এবং বিদ্যুতের দাম প্রায় ৩ শতাংশ বাড়িয়ে সরকারের ঘোষণার দুদিন পর শনিবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি।

রিপন বলেন, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম যখন কমছে, তখন গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত ‘অযৌক্তিক ও অগ্রহযোগ্য’।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) নতুন করে গণশুনানি করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

রিপন বলেন, “সরকারের আজ্ঞাবাহী বিইআরসি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য দেশের অস্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে বেছে নিয়েছে। তারা তিনদিনব্যাপী যে গণশুনানি করেছিল, তার রায় ছিলে দাম না বাড়ানোর পক্ষে।

“কিন্তু লোক দেখানো শুনানির নামে নিজেদের ইচ্ছামতো বিইআরসি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। আমাদের দল বিইআরসির মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।”

গ্যাস-বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য পর্যালোচনায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দাবি বিএনপির বক্তব্যের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে বলে দাবি করেন রিপন। 

আসাদুজ্জামান রিপন (ফাইল ছবি)

ভর্তুকি কমাতে মূল্য বৃদ্ধির যে যুক্তি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতা বলেন, “গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি ও সিস্টেম লস কমাতে পারলে মূল্য বৃদ্ধির বোঝা জনগণের উপর চাপাতে হত না।”

“আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমা সত্ত্বেও সরকার উল্টো বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। গ্যাস খাত লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও গ্যাসের দামও তারা বৃদ্ধি করেছে,” বলেন তিনি।

বিদ্যুৎখাতে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে প্রতিবছর ২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সমালোচনাও করেছে বিএনপি।

রিপন বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ার পাশাপাশি রপ্তানি খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

“গ্যাস ও বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্যে ব্যবসা খাতে অর্থনৈতিক চাপ পড়বে। বেসরকারি খাতে কল-কারখানায় বিদ্যুতের লোডশেডিং মোকাবেলায় ক্যাপটিভ বিদ্যুতের জন্য যে গ্যাস ব্যবহার হয়, তার মূল্য এক লাফে দ্বিগুণ করায় শিল্পোৎপাদনের বড় ধরনের আঘাত সৃষ্টি করবে।”

সংবাদ সম্মেলনে রিপনের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এএসএম আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।