আদালতে যাননি খালেদা, পরবর্তী শুনানি ৩ সেপ্টেম্বর

অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে না যাওয়ায় তার অনুপস্থিতিতেই জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2015, 11:30 AM
Updated : 27 August 2015, 11:30 AM

আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন রেখেছে আদালত। ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে নতুন দিন রাখেন।

পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কারা অধিদপ্তর প্যারেড মাঠে অস্থায়ী এজলাসে জিয়া এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এদিন আদালতে একটি আবেদন করা হয় বলে তার অন্যতম আইনজীবী জাকির হোসেন জানিয়েছেন।

আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় মামলার বাদীকে জেরার মধ্য দিয়ে। তাকে জেরা করেন মামলার আসামি মনিরুল ইসলামের আইনজীবী টিএম আকবর।

পরে মামলার দুই নম্বর সাক্ষী এজাহার গ্রহণকারী (রেকর্ডকারী) পুলিশের উপপরিদর্শক মাহফুজুল হক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে জেরা করেন আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী সোনালি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইনসান উদ্দিন আহমেদ ও ব্যাংকের ক্যাশ বিভাগের কর্মকর্তা শাজাহান খান জবানবন্দি দেন।

ইনসান উদ্দিনের সাক্ষ্যের শেষদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তাকে কিছু শিখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এসময় বিচারক আইনজীবীদের এজলাস ত্যাগের ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেন।

পরে অবশ্য শাজাহান খানের জবানবন্দির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আবার এজলাসে ফেরেন।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া এতিমখানা  ট্রাস্ট এবং ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই মামলারই প্রধান আসামি।

এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ৭১ লাখ ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ এবং দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।