ভয়ঙ্করের আশঙ্কায় সতর্কতা আশরাফের

ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2015, 02:44 PM
Updated : 26 August 2015, 04:59 PM

গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ১১ বছর পূর্তিতে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেন।

বুধবার বিকালে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চের ওই অনুষ্ঠানে আশরাফ বলেছেন, “ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারে।”

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ দুই সপ্তাহ আগেও জাতীয় শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ৭৫-এর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সেদিন তিনি বলেছিলেন, “তখনও (১৯৭৫ সাল) আমাদের দল ক্ষমতায় ছিল। তাহলে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা তখন কোথায় ছিল? তখন কি আমাদের কোনো ব্যর্থতা ছিল না?”

বুধবারের সভায় আশরাফ বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য ১৪ অগাস্ট রাত বেছে নেওয়া হয়েছিল, কারণ ওই দিন পাকিস্তানের জন্ম। বঙ্গবন্ধুর অপরাধ ছিল, তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের সাধের পাকিস্তান ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন। এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এমন ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে।”

ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে দুই সপ্তাহ আগে আশরাফের আহ্বানের পর ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অন্তত ছয়জন নিহত হন।

এর পাশাপাশি জোট শরিক জাসদের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা নতুন করে প্রশ্ন তুললে তা নিয়েও বাদানুবাদ চলছে। একে ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে জাসদ। 

জনপ্রশাসনমন্ত্রী আশরাফ বলেন, “ক্ষমতায় আছি বলেই আমরা নিরাপদ নই। খালেদা জিয়া প্রতি মুহূর্তে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বিএনপি নানা কৌশলে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চায়। এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

“হেলায় বসে থাকার সুযোগ নেই। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করলে অন্যরা সুযোগ নেবে। ব্যক্তি স্বার্থকে গুরুত্ব না দিয়ে দলের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে কাজ করুন।”

জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় আশরাফ ছিলেন প্রধান অতিথি। শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।