বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের এই দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জন্মদিন পালন না করারও আহ্বানও জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ আহবান জানান ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফ।
তিনি বলেন, “আমরা আর বিভাজন চাই না। আমরা চাই সবাই মিলে সার্বজনীনভাবে ১৫ অগাস্ট শোক দিবস পালন করি।”
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আশরাফ বলেন, “আপনি দয়া করে পনেরোই অগাস্ট আপনার জন্মদিন পালন না করে ১৬ বা ১৭ তারিখ করেন। আপনি তো ইচ্ছা করে ১৫ তারিখ জন্মদিন পালন করেন। ১৫ তারিখ তো আপনার জন্মদিন না।”
বঙ্গবন্ধুর সৃতিচারণ করতে গিয়ে তার ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের এই ছেলে বলেন, “৪০ বছর পার হয়ে গেছে নিজেও টের পাই নি, মনে হয় সেদিনের কথা।”
যারা জাতির জনককে হত্যা করেছে তারা সফল হয়নি মন্তব্য করে আশরাফ বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্য ছিল তাদের।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শোক দিবসের এই আয়োজনকে নতুন সূচনা বলেও মন্তব্য করেন আশরাফ।
“আগে কখনও সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এভাবে শোক দিবস পালন করা হত না। নতুন সূচনা তৈরির জন্য মেয়র সাঈদ খোকনকে ধন্যবাদ।”
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় মীরজাফরের ভূমিকায় ছিলেন মোস্তাক আর জিয়া লর্ড ক্লাইভের ভূমিকায় আসল নায়ক হিসাবে বঙ্গবন্ধুকে খুন করিয়েছিলেন।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা আনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।