পরিস্থিতি নৈরাজ্যের দিকে যাচ্ছে: বিএনপি

দেশে গণতান্ত্রিক সরকার নেই দাবি করে বিএনপি মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন অভিযোগ করেছেন, এ কারণেই অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2015, 01:25 PM
Updated : 4 August 2015, 04:22 PM

মঙ্গলবার বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশে অবনতির চিত্র উঠে আসায় দেশের মর্যাদার প্রশ্নে বিএনপি উদ্বিগ্ন। বর্তমানে দেশে আইনের শাসন অনুপস্থিত থাকায় সুশাসন ও জবাবদিহিতা এখন আর অবশিষ্ট নেই। পরিস্থিতি ক্রমেই নৈরাজ্যের দিকে চলে যাচ্ছে।”

রাষ্ট্রে অপরাধ প্রবণতা বাড়ার জন্য শাসকদলের উৎশৃঙ্খল ও অনুগতরা দায়ী বলেও মনে করেন বিএনপির এই আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।

রিপন বলেন, “আজকে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়- সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান অপহরণের মানদণ্ডে বাংলাদেশকে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে সপ্তম দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এটা দেশের নাগরিকদের জন্য উদ্বেগের, লজ্জারও।

“দেশে কোনো যুদ্ধমান পরিস্থিতি বিরাজ না করলেও অবশ্যই খুন ও অপহরণের ব্যাপকতা আছে। গুম ও মানব পাঁচারের ঘটনা ঘটছে। এখানে শিশু-নারী নিযার্তিত হচ্ছে। মায়ের পেটে শিশু গুলিবিদ্ধ হচ্ছে। কেবল তাই নয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা লাঞ্ছিত হচ্ছে।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘সঠিকভাবে’ তাদের দায়িত্ব পালন করছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে দলের কারাবন্দি নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি ও ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার করে নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।

দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে রিপন বলেন, “আমাদের দলের চৌধুরী আলম ছয় বছর হয়ে গেল, আজো ফিরে আসেনি। সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে পাওয়া গেল ভিন দেশে। এরকম ২০/৩৫ কর্মী নিখোঁজ হয়ে আছেন।”

এসব ঘটনার তদন্তে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তত্ত্বাবধায়নে আন্তর্জাতিক তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এর মাধ্যমে তদন্ত করার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আবদুস সালাম আজাদ, আবু সাঈদ খান খোকন, নুরী আরা সাফা, মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আসাদুল করীম শাহিন, হেলেন জেরিন খান, রাশেদা বেগম হীরা, শাম্মী আখতার, হুমায়ুন ইসলাম খান, আকম মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।