শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট প্রত্যাহার চায় বিএনপি

বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2015, 01:37 PM
Updated : 2 August 2015, 01:37 PM

রোববার নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, “আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে- শিক্ষা হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার। এই মৌলিক অধিকার শিক্ষাকে আজ বাণিজ্যিকভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার পেছনে বাণিজ্যিক উদ্যোগ রয়েছে, সে কারণের এই ভ্যাটের প্রশ্ন এসেছে। বিএনপি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদ করছে। তার দল এর বিরুদ্ধে।”

২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি এর উপর সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়।

আসাদুজ্জামান রিপন (ফাইল ছবি)

রিপন বলেন, “আমরা বাজেট ঘোষণার সময়ে বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব বাতিল করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তা মেনে নেয়নি। এই সরকার জনগণের সরকার নয়।”

ক্ষমতায় যেতে পারলে বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট প্রত্যাহার করারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
দলের এই মুখপাত্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার যদি শিক্ষাবান্ধব হতো, তাহলে ২০১০ সালে বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর ৪ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছিল। এটাকে এখন ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এ থেকে প্রমাণ হয়, তারা শিক্ষাবান্ধব ও ছাত্রবান্ধব সরকার নয়।”

রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজস্ব বোর্ড আহরণ করা ভ্যাট জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করেছে এই মাসের ১৫ তারিখ। আমরা সুস্পষ্টভাষায় বলতে চাই- সরকারের এই পদক্ষেপ একেবারেই গণবিরোধী।”

“বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট আরোপ এবং তা আদায় করার জন্য সরকার যে চাপাচাপি করছে, আমরা মনে করি এতে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে দেবে। অভিভাবকরা আরো অর্থকষ্টে পড়বেন।”

অবিলম্বে বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানিয়ে রিপন বলেন, “যেহেতু রাষ্ট্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা করতে পারছে না, সেজন্য এভাবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট আরোপ করে শিক্ষার্থীদের কষ্টে ফেলার কোনো কারণ থাকতে পারে না। আমরা সরকারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি, অনুরোধ করছি, বিষয়টি মানবিকভাবে দেখার জন্য।”