নির্বাচনকালীন সরকারেও বিএনপির সুযোগ নেই: কামরুল

সংসদে প্রতিনিধিত্ব না থাকায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির থাকার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2015, 01:10 PM
Updated : 2 August 2015, 01:51 PM

তিনি বলেছেন, “২০১৯ সালের নির্বাচনের নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তার অধীনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।”

রোববার দুপুরে শোক দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় কামরুল এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে না- আশঙ্কা প্রকাশ করে শনিবার খালেদা জিয়া বলেছেন, তারা তার অধীনে নয়, বরং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবেন।   

পাশাপাশি প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে সবাইকে সরে আসারও আহ্বান জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের বিরোধিতা করে আসা বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি তা ঠেকানোর আন্দোলনে নামে।

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি জোটের ওই আন্দোলন এবং নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে তাদের তিন মাসের অবরোধে নাশকতায় অন্তত দুইশ মানুষের প্রাণহানি হয়।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল আরও বলেন, “মনে হচ্ছে বিএনপি সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে সুস্থ রাজনৈতিক ধারায় ফিরে এসেছে। আমি বিশ্বাস করি ও আশা করি তারা তাদের মনের কুটিলতা ও পৈশাচিক কোন কর্মসূচি তারা আর দিবে না।”

এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “বিএনপির অবস্থান এখন মেঘাচ্ছন্ন। তাদের পেটে এক কথা, মুখে আর এক কথা।”

শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না এলে বিএনপির অবস্থা মুসলিম লীগের মত হবে মন্তব্য করে মায়া বলেন, “নির্বাচনে না আসলে আপনার দলের (বিএনপির) অবস্থা মুসলিম লীগের মত হবে।”

বক্তব্যে শোক দিবসের নাম করে কোন ধরনের চাঁদা তোলার অভিযোগ পেলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করেন তিনি।    

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মায়া বলেন, “আপনার কথায় আমরা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। তাই আপনি দেশকে ভালবাসলে দেশের এই শোকের মাসে অন্তত পক্ষে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করবেন না। তাহলে প্রমাণ হবে আপনি ভুলভ্রান্তি শেষ করে শুধরিয়েছেন।”

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল চৌধুরী, হাজি মোহাম্মদ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ।