ছিটমহলের নতুন বাংলাদেশিদের খালেদার অভিনন্দন

স্থল সীমান্ত চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভকারী ছিটমহলবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2015, 11:09 AM
Updated : 1 August 2015, 11:09 AM

“বিএনপি এই শুভক্ষণে আনন্দিত। বিলুপ্ত হওয়া ছিটমহলবাসীদের এই আনন্দের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শামিল হয়েছেন, তিনিও আনন্দিত। এই মাহেন্দ্রক্ষণে তাদের তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন।”

ছিটমহল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারতের ছিটমহলের ৩৭ হাজার মানুষের ভূমিসহ বাংলাদেশি হয়ে যাওয়ার দিন এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন।

বাংলাদেশের ভেতরে থাকা এই ১১১টি ছিটমহলের নাগরিক এতদিন পরিচয়ে ভারতীয় থাকলেও তারা ছিল সব অধিকারবঞ্চিত। তেমনি ভারতের ভেতরে থাকা ৫১টি ছিটমহলের ১৪ হাজার বাসিন্দাও ছিল বঞ্চিত।

১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির আওতায় শনিবার মধ্য রাতে হয় ছিটমহল বিনিময়ের আনুষ্ঠানিকতা, যাতে বাংলাদেশের ভেতরের ছিটমহলগুলো বাংলাদেশের হয়ে গেল, ভারতের ভেতরেরগুলো হয়ে গেল ভারতের।  

রিপন বলেন, “আজ জাতির জীবনে একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন, আনন্দের দিন। ছিটমহলের জনগণ নাগরিকত্ব ফেরত পেয়েছেন। এক সময় তাদের ছিটের জনগণ বলা হতো। এখন বাংলাদেশে আর কোনো ছিট নেই।”

বিলুপ্ত এই ছিটমহলগুলোর মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে সেখানে দ্রুত উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণের জন্য সরকারকে পরামর্শ দেন তিনি।

“বাংলাদেশের ভুখণ্ডে মিশে যাওয়া ছিটমহলগুলোর মানুষের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগোযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সকল উদ্যোগ নিতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। মূলধারার মতো তারাও যেন সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেন।”

একই সঙ্গে একটি ছিটমহলের নাগরিকত্ব নিয়ে সঙ্কটের বিষয়টি গণমাধ্যমে দেখার কথা জানিয়ে তার সুরাহার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতা।  

“বিবিসির একটি প্রতিবেদনে দেখেছি, একটি ছিটমহলে কিছু মানুষের ইচ্ছানুযায়ী নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা হয়নি। এদের মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন, যারা ভারতের নাগরিকত্ব পেতে চেয়েছিলেন। তাদের জোর করে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের ফরম নিবন্ধন করা হয়েছে। তারা নিজেরা টিপসই দেননি বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

“সরকারকে বলব- যদি সুযোগ থাকে, আইনগত কোনো জটিলতা না থাকে তাহলে ভারতের সঙ্গে আলাপ করে এই বিষয়টির যেন সুরাহা করা হয়। আমি আশা করব, নাগরিকরা যাতে তাদের ইচ্ছানুযায়ী অভিবাসন নিতে পারেন।”

ছিটমহল বিনিময়ের ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের নিজের ইচ্ছায় নাগরিকত্ব বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। ভারতের ভেতরে থাকা ছিটমহলগুলোর কেউ বাংলাদেশে আসতে রাজি না হয়নি। তবে বাংলাদেশের ভেতরে থাকা প্রায় এক হাজার জন ভারতের নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করেছেন।