নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগ দাবি বিএনপির

আঠার বছরের কম বয়সীদের নিবন্ধিত করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছে বিএনপি। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2015, 03:20 PM
Updated : 27 July 2015, 03:20 PM

দলটি বলছে, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নিবন্ধিত করার বিষয়টি দুরভিসন্ধিমূলক।

সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “নির্বাচন কমিশন এ বছরে দেশের প্রায় তিনশ পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চনের আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

“এটা করতে গিয়ে তারা (নির্বাচন কমিশন) এক তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৫-১৭ বছর বয়সী বা অপ্রাপ্ত বয়স্কদেরও ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত করতে চান।”

নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে এ ধরনের কার্যক্রমকে অবৈধ ও বেআইনি আখ্যায়িত করে তা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

গত ২৫ জুলাই থেকে একসঙ্গে তিন বয়সীদের (বর্তমানে যাদের বয়স ১৫-১৭ বছর) তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি, তারা নিবন্ধনের আওতায় আসছে।

ভোটারযোগ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে চূড়ান্ত তালিকাভুক্ত করা হবে।

এ ধরনের কার্যক্রম শুরু করায় প্রধান নিবার্চন কমিশনারসহ অন্যদের পদত্যাগ দাবি করে রিপন বলেন, “আমরা মনে করি, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নিবন্ধিত করার কাজটি দুরভিসন্ধিমূলক। একটি বেআইনি কাজ করা একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নয়।”

তিনি বলেন, “তারা যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন তাহলে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি, তিনি তার এখতিয়ার বলে সংবিধানের যে ধারায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনকে অভিশংসন করতে পারেন, সেই ধারা প্রয়োগ করে কমিশনকে অভিশংসনের উদ্যোগ নেবেন।”

গত তিন সিটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মুখপাত্র রিপন বলেন, “আমাদের নেত্রী গত পরশু এক সভায় বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ছিল না। শাসকদলসহ তাদের মিত্ররা ছাড়া দুই-তৃতীয়াংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ওই নির্বাচনে অংশ নেয়নি।”

ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “এ অবস্থায় আমার দল মনে করে না ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো বর্তমান কমিশনের অধীনে স্থানীয় সরকার কিংবা অন্য কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে।”

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, সেলিম রেজা হাবিব, শাম্মী আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।