সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আপনি (খালেদা জিয়া) দাবি করেন, করতে পারেন। তবে কোনদিন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসবে না। তত্ত্বাবধায়কের মতো কোনো সরকারও ফিরে আসবে না।”
“আপনাকে নির্বাচন করতে হলে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। সেটাও ২০১৯ সালে হবে। আপনি চেষ্টা করতে পারেন। আপনার আন্দোলন অতীতে সফল হয় নাই। ভবিষ্যতেও হবেও না।”
দুই দিন আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে নিজের কার্যালয়ে এক সভায় বিএনপি প্রধান যেকোনো নামেই হোক একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, “নতুন করে খালেদা জিয়া নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন। নির্বাচনের বাস যখন ছেড়ে গেছে, এরপর সেটাকে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন বোধ করে নাই। তাদের (বিএনপি) প্রতি আমাদের আহ্বান, সুষ্ঠু রাজনীতিতে ফিরে আসুন। সাম্প্রদায়িক-ধর্মীয় রাজনীতি ছাড়ুন।”
ন্যাপের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমেনা আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের ইসমাঈল হোসেন প্রমুখ।