সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “সরকারকে বলব, বিরোধী দল দমন করার নীতি ও কৌশল থেকে আপনারা সরে আসুন। আমরা তাদের সঙ্গে সব বিষয়ে নতুন করে শুভ সূচনা করতে চাই।
“গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে কাজ করবে, নির্বাচন কমিশনকে কীভাবে শক্তিশালী করা যাবে, একটি পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে কী করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব করা সম্ভব হয়- এই বিষয়গুলো নিয়ে কার্যকর সংলাপে বসার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দিন জন্মদিন পালন না করতে খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত শুক্রবার বলেছিলেন, এক্ষেত্রে সহযোগিতা করলে সমঝোতার রাজনীতি আরেকধাপ এগিয়ে যাবে।
সংলাপ না হওয়ার জন্য সরকারকে দায়ী করে রিপন বলেন, “সরকার মনে করতে পারে, বিরোধী দল দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তারা বিরোধী দলকে দুর্বল ভাবতে ভাবতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে ফেলেছে এবং নিজেরাই দুর্বল হয়ে পড়েছে।”
সংলাপের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে সরকার পরিস্থিতি জটিলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিকে তার স্বাভাবিক কোনো কর্মকাণ্ড চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা দিয়ে আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সীমিত করে রাখা হয়েছে।”
কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবিও জানান বিএনপি নেতা।
“এসব করে সাময়িকভাবে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারলেও জনগণের সমর্থন পাবে না,” সরকারকে সতর্ক করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রিপনের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আবদুস সালাম আজাদ, তৈমুর আলম খন্দকার, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহিন, সেলিম রেজা হাবিব, খোরশেদ মিয়া আলম প্রমুখ।