একদিন ক্লাসে বলেছিলেন, ‘‘একজন মানুষ যদি তোমাদের কাছে জানতে চায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিটা কোথায়? তোমরা তাকে বলে দিলে। আর ওই ভদ্রলোক যদি একই বিষয় আমার কাছে জানতে চায় এবং আমি বলি যে আমি জানি না– তাহলে তাকে কে সাহায্য করল? তোমরা, না আমি?’’
এর উত্তরে আমরা সমস্বরে বললাম, ‘‘স্যার, আমরা।’’
স্যার যথারীতি খানিকক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর বললেন, ‘‘না, আমি।’’
তারপর ব্যাখ্যা দিলেন, ‘‘আমি যখন আগন্তুক ভদ্রলোককে বললাম যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিটা কোথায় তা আমি জানি না, তখন সে ঘুরতে থাকবে, হয়তো সে ঘুরতে ঘুরতে রেজিস্টার ভবন চিনবে, ভিসির বাড়ি চিনবে, কলাভবন চিনবে, মধুরকেন্টিন চিনবে, তারপর একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি চিনবে। কিন্তু তোমরা যখন বলবে, আপনি সোজা চলে যান সেখানে দেখবেন ডান দিকে রোকেয়া হল, তার উলটো দিকে লাইব্রেরি– তখন আসলে তোমরা তার জানার বা অনুসন্ধানের ক্ষেত্রটি ছোট করে দিচ্ছ। সে হয়তো সহজে লাইব্রেরি পাবে, কিন্তু আরও অনেক কিছুই চিনবে না। তোমরা তার জানার সুযোগটা সংকীর্ণ করে দিয়েছ।’’ (বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন)