প্রথম কারণটা সম্ভবত শুধুই সময়ের অভাব। কারখানার হাড়ভাঙা খাটুনি তো আছেই, আছে বাসা থেকে কারখানা পর্যন্ত হেঁটে যাওয়া-আসার সময় ও শরীরের ধকল। তারপর আছে সংসারের কাজ। এ ক্ষেত্রে অবিবাহিত বা একলা শ্রমিক যাঁরা অন্যদের সঙ্গে মেস করে থাকেন তাঁদের সাংসারিক খাটনি একরকম, বিবাহিত শ্রমিকের চেয়ে তুলনামূলক কম। আর বিবাহিত হলে তো কথাই নেই। বাচ্চা পালা থেকে পরিবারের সকলের জন্য রান্না করা, ঘর গুছানো, বাজার-সদাই, কাপড় ধোয়া, কুটুম্ব দেখভাল সবই মেয়ে শ্রমিকটিকেই করতে হয়। তারপর ‘সংগঠন করব’ এটা ভাবার মতো সময়ই বা কোথায়?
আর দ্বিতীয় কারণটা সেই খাড়া-বড়ি-থোড়, ‘পুরুষের জগৎ’ তত্ত্ব। অর্থাৎ ঘরের বাহির মানেই পুরুষের জগৎ, শ্রমিক সংগঠনও যার ব্যতিক্রম নয়। আর তাই সেখানেও পুরুষেরই আধিপত্য স্বাভাবিক, সে নেতৃত্বের বেলায় হোক কী সাধারণ সদস্যের বেলায় হোক।