নেপালে ভূমিধসে বন্ধ নদীর প্রবাহ ফের সচল

নেপালের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ভূমিধসে বন্ধ হয়ে যাওয়ার একটি নদীর প্রবাহ ফের সচল হয়েছে। 

>>রয়টার্স
Published : 25 May 2015, 06:22 AM
Updated : 25 May 2015, 06:22 AM

তবে এতেও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা পুরোপুরি দূর হয়নি বলে রোববার জানিয়েছে পুলিশ। 
 
শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১৪০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমের মাইয়াগদি জেলার রামচি গ্রামে ভূমিধসে কালি গান্দাকি নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে নদীর আটকা পড়া পানি জমে ফের ধসের মাধ্যমে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়। 
 
পুলিশ কর্মকর্তা কামাল সিং বাম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “তৈরি হওয়া বাঁধটি উপচে নদীর পানির প্রবাহ আবার শুরু হয়েছে। এতে জমে যাওয়া পানির উচ্চতা আর বাড়ছে না।” 
 
তিনি বলেন, “এতে ভূমিধসে তৈরি হওয়া বাঁধটি হঠাৎ করে ধসে পড়বে না বলে ধারণা করছি আমরা। তবে ঝুঁকি এখনও রয়ে গেছে।” 
 
এর আগে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় নদীর প্রবাহপথ সংলগ্ন গ্রামগুলোর হাজার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। 
 
মাইয়াগদির জেলা প্রশাসক টেক বাহাদুর কে সি জানিয়েছেন, ভূমিধসে নদীতে ১৫০ মিটার উঁচু একটি বাঁধের সৃষ্টি হয়ে সেখানে পানি জমে তিন কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। 
 
“ভূমিকম্পে পর্বতে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় ভূমিধসের আশঙ্কায় আমরা আগেই ওই এলাকা থেকে ১২৩ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি, তাই এতবড় ভূমিধসের পরও কেউ হতাহত হননি,” বলেন তিনি।
 
ওই ভূমিধসে স্থানীয় কয়েকটি এলাকার মধ্যে সংযোগকারী একটি সড়ক চাপা পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 
 
২৫ এপ্রিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে হিমলায় কোলের দেশ নেপাল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। 
 
ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে ও ভূমিধস, তুষারধসে দেশটির আট হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। 
 
১২ মে ভূমিকম্পের আরেকটি পরাঘাতে আরো বেশি কিছু মানুষ নিহত হয় ও ফের ভূমিধস, তুষারধসের ঘটনা ঘটে।  
 
২০১৪ সালের অগাস্টে নেপালে অপর একটি বড় ধরনের ভূমিধসে সানকোশি নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। 
 
ওই ভূমিধসে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। তখনও ভূমিধসে তৈরি হওয়া বাঁধ ভেঙে আকস্মিক বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল।