নেপালে ভূমিধসে নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে বন্যার আশঙ্কা

নেপালে ভূমিকম্পের পরাঘাতে সৃষ্ট ভূমিধসে একটি নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় কয়েক হাজার গ্রামবাসীকে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রয়টার্স
Published : 24 May 2015, 08:17 AM
Updated : 24 May 2015, 08:36 AM

শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১৪০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে মাইয়াগদি জেলার রামচি গ্রামে ভূমিধসে কালি গান্দাকি নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। 
 
প্রবাহ বন্ধ হওয়া নদীটিতে একটি নতুন হ্রদ তৈরি হয়ে তাতে প্রচুর পানি এসে জমা হচ্ছে। যে কোনো সময় ধসে পড়া মাটির বাঁধ ভেঙে গিয়ে সংলগ্ন এলাকায় আকস্মিক ধ্বংসাত্মক বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 
 
পূর্ব সতর্কতা হিসেবে নদী সংলগ্ন এলাকার জেলাগুলো থেকে রোববার কয়েক হাজার গ্রামবাসীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। 
 
নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয়ের কর্মকর্তা লক্ষী প্রাসাদ ধাকাল বলেছেন, “নদীপাড়ের জেলাগুলোর গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বলেছি আমরা।” 
 
এসব জেলার মধ্যে পারবাত, সাইয়ানগজা, গুলমি, পালপা, নাওয়ালপারাসি ও চিতোয়ান উল্লেখযোগ্য। 
 
“ভূমিকম্পের কারণে পর্বতের ঢালগুলো ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এটি সেই কারণেই হতে পারে,” ভূমিধসের বিষয়ে বলেন ধাকাল।  
 
ছাড়া পাওয়া পানি নদীর খাত বেয়ে নেপালের প্রতিবেশী ভারতেও বন্যার কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতে নদীটি গান্দাক নামে পরিচিত।  
 
ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা কামাল সিং বাম। 
 
তৈরি হওয়া হ্রদটিতে পানি খুব দ্রুত বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ ও সেনা সদস্যরা বাঁধটি খুলে দেয়ার চেষ্টা করবে।”
 
হ্রদের পানি ২০০ মিটার গভীর হতে পারে এবং আকস্মিক বন্যায় ওই এলাকায় অবস্থিত নেপালের অন্যতম বৃহত্তম জল বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে নেপালি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, জানিয়েছে বিবিসি। 
 
টেলিফোনে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভূমিধসে প্রায় ২৪টির মতো বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাননি বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।