তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর আসনে আবার জয়ললিতা

দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার ১২ দিনের মাথায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন জয়ারাম জয়ললিতা।

>>আইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2015, 01:01 PM
Updated : 23 May 2015, 01:57 PM

শনিবার তিনি শপথ গ্রহণ করেন। এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসলেন এক সময় তামিল সিনেমার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের ক্ষমতাসীন অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগামের (এইএডিএমকে)সংসদীয় দল শুক্রবার চেন্নাইয়ে এক বৈঠকে জয়ললিতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করে।

নেত্রীর ক্ষমতায় আরোহণের পথ সুগম করতে শুক্রবারই ও.পান্নিরসেলভাম মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।  বর্তমান মন্ত্রীসভায় তিনি অর্থনীতি ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।

দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আট মাস আগে জয়ললিতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে জেলে যেতে হয়। কর্নাটক হাই কোর্ট চলতি মাসের শুরুতে তাকে খালাস দিলে আবারও তার ক্ষমতায় ফেরার পথ তৈরি হয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে তাকে বিধানসভার একটি আসনে নির্বাচিত হতে হবে।

মাদ্রাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বছরের পুরনো অডিটরিয়ামে ৬৭ বছর বয়সী জয়ললিতা শপথ গ্রহণ করেন। গভর্ণর কে. রসাইয়াহ তাকে শপথ পাঠ করান। 

জয়ললিতার ২৯ সদস্যের মন্ত্রীসভাও এদিন শপথ পাঠ করে। নতুন মন্ত্রীসভা থেকে বাদ পড়েছেন পান্নিরসেলভামের মন্ত্রীসভার বনমন্ত্রী এম.এস.এম. আনন্দ এবং পি. চেন্দুর পানদিয়ান (মন্ত্রণালয় বিহীন মন্ত্রী)। এছাড়া বাকি সবাই নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে বহাল আছেন।

জয়ললিতার বাড়ি থেকে শপথ গ্রহণ স্থল পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার মানুষ তাদের প্রিয় ‘আম্মা’ কে স্বাগত জানান।

ইউনিয়ন মন্ত্রী পন. রাধাকৃষ্ণানসহ এইচ. রাজা, এল. গনেশান এবং সারাথকুমারের মত রাজনীতিবীদরা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া তালিম চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী রজনিকান্ত, প্রভু, গুন্ডু কল্যায়ানাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

২০১১ সালে তামিলনাড়ুর বিধান সভায় জয়লাভ করে জয়ললিতার দল এআইএডিএমকে। গত বছর সেপ্টেম্বরে ১৮ বছরের পুরনো একটি দুর্নীতির মামলায় (দুর্নীতির মাধ্যমে অগাধ সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগে) জয়ললিতাকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং একশ কোটি রুপি জরিমানা করে ব্যাঙ্গালুরুর একটি আদালত।