এমবিএ পাশ করা জিশান আলি খান ‘হরিকৃষ্ণ এক্সপোর্ট’ নামের ওই ফার্মে চাকরির আবেদন করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ই-মেইলে জানিয়ে দেয়া হয় যারা মুসলিম নন, শুধু তাদেরই সেখানে চাকরি দেয়া হয়।
খানের বন্ধুরা তখন মেইলটির একটি স্ক্রিনশট নিয়ে স্যোশাল মেডিয়ায় পোস্ট করে দিলে মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
বৈষ্যম্যের এ অভিযোগে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’। ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩বি ধারা অনুযায়ী, কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ এবং কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সে কাজ করলে তাদের লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে।
জিশান আলি খান জানান, গত সপ্তাহে এমবিএ-র ফাইনাল পরীক্ষা শেষের পর তিনি জানতে পারেন হরিকৃষ্ণ এক্সপোর্টে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তাই বন্ধুদের সঙ্গে মিলে সেখানে বায়োডেটা পাঠিয়ে ইমেইলে চাকরির আবেদন করেন তিনি।
কিন্তু মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে জবাব আসে – “দু:খিত, আমরা মুসলিমদের চাকরি দিতে পারব না, শুধু অ-মুসলিমদেরই আমরা কোম্পানিতে নিই।”
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড়ের পর ওই হীরা কোম্পানির পক্ষ থেকে সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের এইচআর বিভাগের একজন শিক্ষানবিশ ভুল করে ওই ই-মেইলটি পাঠিয়েছিলেন। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানায় কোম্পানিটি।