বৃহস্পতিবার কর্নাটকের প্রধান শহর বেঙ্গালুরুর কাছে বেত্তাহালাসুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ভিকাস কুমার বলেছেন, “বিকেলে পাথরের খনিটিতে আট ছাত্র ঘুরতে এলে এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে পাঁচজন খনির গর্তে জমে থাকা ঘোলা পানিতে সাঁতার কাটতে নামে। সাঁতার না জানায় অপর তিনজন পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকে।”
“একজন হঠাৎ ডুবে যেতে শুরু করলে অপর চার বন্ধু তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন, কিন্তু ঘূর্ণিজলে তালিয়ে যান তারা।”
ঘটনার আকস্মিকতায় পাড়ে অপেক্ষারত বন্ধুরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। সম্বিত ফিরে পেয়েই তারা সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করেন এবং পুলিশ ও এলাকাবাসীকে ডেকে আনেন।
সন্ধ্যার দিকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন ডুবুরিরা। কিন্তু অন্ধকার হয়ে আসায় আলোর অভাবে আরেকটি লাশ উদ্ধার করা যায়নি। শুক্রবার সকালে উদ্ধারকাজ আবার শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ভিকাস।
মৃত তরুণরা কর্নাটকের চিক্কাজালা এলাকার শ্রী রেভানা সিদ্ধেশসরা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এলাকাটি বেঙ্গালুরু থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে।
“বেত্তাহালাসুর খনিটি একটি সংরক্ষিত এলাকা। খনির গর্তে জমে থাকা পানি ৮০ ফুট গভীর। এখানে সাঁতার কাটা অত্যন্ত বিপদজনক। খনিটি পরিত্যাক্ত হওয়ায়, এখানে আগতদের নিয়ন্ত্রণে কোনো পাহারা নেই,” জানান ভিকাস।