কৃষক বঞ্চনা এবং কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণ বিলের প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে এসে বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে কেজরিওয়ালের সভামঞ্চের পাশের গাছে ঝুলে প্রকাশ্যেই আত্মহত্যা করেন রাজস্থানের দৌওসা জেলার কৃষক গজেন্দ্র সিংহ রাজপুত।
বিষয়টি নিয়ে তুমুল হট্টগোল হয়েছে পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই। তুমুল বাক বিতন্ডায় স্থগিত হয়ে যায় দুই কক্ষের কাজ। অধিবেশনের শুরুতেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি জানায় কংগ্রেস।
কিন্তু স্পিকার ঘটনাটি নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধ জানিয়ে দিনশেষে এটি নিয়ে আলাপের সিদ্ধান্ত জানালে এর প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন বাম সদস্যরা। এরপর তুমুল বিক্ষোভ শুরু হলে অধিবেশন মুলতবি করেন স্পিকার।
জমি বিল নিয়ে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে কৃষকের আত্মহত্যায় ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারও। বিতর্ক থামাতে ট্যুইটারে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও কৃষক আত্মহত্যার ঘটনাকে ‘লজ্জ্বাজনক’ আখ্যা দিয়ে লোকসভায় এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের স্বাধীনতার এত বছর পরও কেন কৃষকদের অবস্থার উন্নতি হয়নি তা সরকার এবং বিরোধীদের খতিয়ে দেখা উচিত।
ওদিকে, বহস্পতিবার সকাল থেকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে যুব কংগ্রেস কর্মীরা।
অন্যদিকে, দিল্লির পুলিশ সদরদপ্তরগুলোতে বিক্ষোভে জড়ো হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)কর্মীরা। সমাবেশের সংগঠকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছে তারা।
বিক্ষুব্ধ যুবকংগ্রেস কর্মীরা কেজরিওয়ালের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে। কেজরিওয়ালের কুশপুত্তলিকাও পোড়ায় তারা। এএপি নেতাদের সমাবেশ বন্ধ করে কৃষককে বাঁচানো উচিত ছিল। তা না করে সভা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করাউচিত, বলছে বিক্ষোভকারীরা।
কেজরিওয়াল কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনার জন্য পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন। তাছাড়া, এ ঘটনার পেছনে বিজেপি’র চক্রান্ত রয়েছে বলেও অভিযোগ এএপির। অন্যদিকে, এ ঘটনায় এএপিকে’ই দায়ী করেছে রাজ্য বিজেপি।
দিল্লির বিজেপি প্রধান সতীশ উপধ্যায়া ওই ঘটনার পেছনে চক্রান্ত আছে অভিযোগ করে কেজরিওয়ালের সমাবেশের আয়োজকদেরকে হত্যার জন্য দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন।