কৃষক বঞ্চনা এবং কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণ বিলের প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে এসে শেষমেশ সভামঞ্চের পাশের গাছেই এ কাণ্ড ঘটানরাজস্থানের দৌওসা জেলার সাধারণ ওই মানুষটি।
বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরের মঞ্চে এএপি নেতারা ভাষণ দিতে শুরু করার সময়ই গজেন্দ্র গাছে চড়ে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলেপড়েন। গোটা ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি হয়ে প্রচারিত হয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে।
ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন সমাবেশে থাকা লোকজন। গজেন্দ্রকে গাছ থেকে নামিয়ে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে মারা যান গজেন্দ্র।
এই ঘটনার পরও অবশ্য কেজরিওয়ালের সভা চলে কিছুক্ষণ। কেজরিওয়াল বলেন, তিনি পুলিশকে ওই কৃষককে বাঁচানোর ব্যবস্থা নিতে বললেও পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না।
ফসল নষ্ট হওয়ার জেরে আত্মহত্যা করেন কৃষক গজেন্দ্র। একটি সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, “আমার তিনটি সন্তান আছে। ঘরে খাবারনেই। আমার ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বাবা আমাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন। আমি কি করে বাড়ি ফিরব!”
ঘটনাটি নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারত। প্রশ্নের মুখে পড়েছেন এএপি নেতা কেজরিওয়াল।
গজেন্দ্রর আত্মহত্যা নিয়ে তার সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। একজন মানুষ গাছে চড়ে আত্মহত্যা করলেন আর সে সময় কেজরিওয়াল কিভাবে সভা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।