তিস্তা নিয়ে মোদীকে মমতার চিঠি

তিস্তার পানি বণ্টনসহ দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়ের নিষ্পত্তিতে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নয়া দিল্লি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2015, 09:51 AM
Updated : 4 March 2015, 11:26 AM

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্করের সদ্য সমাপ্ত ঢাকা সফরের আগে ওই চিঠি মোদীর কাছে পৌঁছায়।

মমতার ওই চিঠির সুর খুব ‘ইতিবাচক’ বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন।

বৈঠকে বসতে মোদীর কাছে সময়ও চেয়েছেন মমতা।

গত মাসের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে ‘নীতি আয়োগের’ পরিচালনা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বাদে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এর বাইরেও মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে এমন অনেক অনুষ্ঠান এড়িয়ে গেছেন মমতা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

এসব ঘটনার পর মমতা এখন মোদীর সঙ্গে বৈঠক করতে চাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর আচরণে পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

কেন এমনটা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি তারা।

তবে সারদার অর্থ কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল নেতাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ, বর্ধমান বিস্ফোরণের পর ইসলামপন্থী উগ্রবাদীদের কর্মকাণ্ডের তথ্য প্রকাশ এবং দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে সারদার ঘটনায় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ মোদীর সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে মমতার আগ্রহী হয়ে ওঠার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশসহ সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মমতাকে সঙ্গে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদী।

মার্চে ভারত মহাসাগরীয় চার দেশ সফরের পর এপ্রিলে মোদী বাংলাদেশ সফরে আসতে চান বলে তার দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

“সে পর্যন্ত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে এ সংক্রান্ত বিল পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে একটি স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে পৌঁছাবে এবং তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির কিছু জটিলতার অবসান হবে,” বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, মোদী ঢাকা সফরে মমতাকে সঙ্গে নিতে এবং বাংলাদেশ নিয়ে সব ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ঘোষণার সময় তাকে পাশে রাখতে চান।

“গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে পাশে রেখেছিলেন তেমনি মোদীও তাই করবেন।”

তিস্তায় যাতে উজান থেকে বেশি পানি আসে এবং পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ তাদের হিস্যা পায় সেজন্য মোদী সিকিমের সঙ্গে কাজ করছেন বলে অনেকের ধারণা। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু।