মুসলিম মৌলবাদী হুমকি নিয়ে আলোচনায় মোদী

পশ্চিমবঙ্গ ও আসামসহ ভারতের পূর্বাঞ্চলে মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠীর ‘পুনরুত্থানের’ প্রেক্ষাপটে এ ধরনের হুমকি মোকাবেলার বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নয়াদিল্লি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2014, 04:52 PM
Updated : 21 Nov 2014, 07:14 PM

আগামী ৩০ নভেম্বর আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে পুলিশের মহাপরিচালক ও মহাপরিদর্শকের উপস্থিতিতে এক বার্ষিক অনুষ্ঠানে নিজের চিন্তা তুলে ধরে মোদী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

১৯২০ সালের পর প্রথমবারের মতো রাজধানী দিল্লির বাইরে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক ওই সম্মেলনে ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো ও সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ করা হয়েছে।

গত ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে দুজন নিহত হন, যারা নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি শাখার সদস্য বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ।

এর আগে এপ্রিলে আল কায়েদা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি এক ভিডিও বার্তায় সন্ত্রাসবাদী ধর্মীয় এই সংগঠনটির ভারতীয় শাখা খোলার ঘোষণা দেন। আসাম রাজ্যটি আল কায়েদার মূল ‘আগ্রহের জায়গা’ বলে মনে করছে ভারতীয় পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই সম্মেলনে আল কায়েদার ওই ভিডিওচিত্র, বর্ধমান বিস্ফোরণ এবং দুটি ঘটনার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি মোদীর আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।

মুসলিম জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলোর তৎপরতা ছাড়াও আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস ও ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ (বাংলাদেশ থেকে যাওয়া) নিয়েও তিনি কথা বলবেন।

২৯ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় দুদিনব্যাপী এই সম্মেলন প্রথমবারের মতো দিল্লির বাইরে হওয়ায় তার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্মেলনে দক্ষতা ও সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের হাতে ‘প্রেসিডেন্টস পুলিশ মেডেল’ তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আগের দিন সম্মেলনে যোগ দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।      

বার্ষিক এই সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা প্রশাসকদের মধ্যে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক হবে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম, অবকাঠামো এবং কল্যাণ বিষয়ক আলোচনাও হবে সেখানে।

নিরাপত্তা ইস্যুর পাশাপাশি সম্মেলনে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সার্বিক উন্নয়ন ইস্যু নিয়েও আলোচনা করবেন মোদী।

ধারণা করা হচ্ছে সড়ক, গ্রামীণ ও সীমান্ত উন্নয়ন নিয়ে চলমান প্রকল্পগুলো পর্যালোচনাও করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ন্যাশনাল সোশালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (এনএসসিএন) ও ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসামের (উলফা) সঙ্গে চলমান শান্তি আলোচনা নিয়েও কথা বলবেন তিনি।