নিবিড় সম্পর্ক গড়ছে ভারত-ইসরায়েল

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে ভারত ও ইসরায়েলের বাণিজ্য সম্পর্ক সুদৃঢ় হচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2014, 02:22 PM
Updated : 19 Nov 2014, 02:22 PM

গত মে মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেব শপথ গ্রহণ করেন মোদী। এরই মধ্যে প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কয়েকদফা চূক্তি সই করেছে দু’দেশ।

সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলাদাভাবে বৈঠক করেন।

অক্টোবরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের একটি চূক্তি হয়। চূক্তি অনুযায়ী, ভারত ইসরায়েলের কাছ থেকে ট্যাংবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে।

এছাড়া, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ কারার বিষয়ে অনেক দূর এগিয়েছে দেশ দু’টি। ভারত এই অগ্রগতিকে ‘মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করেছে।

ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী নাটালি বেনেট এ ব্যাপারে রয়টার্সকে বলেন, “পরষ্পর সহযোগিতার ক্ষেত্রে (প্রতিরক্ষা এবং অর্থনীতি উভয় দিক দিয়ে) এ এক বিরাট পদক্ষেপ।”

বর্তমানে ইসরায়েলের সামরিক যন্ত্রপাতির সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারত। আর রাশিয়ার পর ভারতীয় পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার ইসরায়েল।

২০১৪ সালের প্রথম নয় মাসে ইসরায়েল ও ভারতের মধ্যে ৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে।

ভারত ও ইসরায়েলের সম্পর্কের অগ্রগতি শুরু ২০০৬ সাল থেকে। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদী। কৃষিক্ষেত্রে নতুন ধারণা পেতে ওই সময় মোদী ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন।

“যদিও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলে ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়টি গোপনই ছিল। ভারতের মুসলিমদের বিরাগভাজন না হওয়ার জন্যই কংগ্রেস এ পথ অবলম্বন করেছিল বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

এখন মোদীর আমলে ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঠিক কতটা নিবিড় হচ্ছে সেটিই এখন দেখার বিষয়। যদিও কৌশলগত দিক দিয়ে এশিয়ার ক্ষমতাধর দেশ ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে পেরে ইসরায়েল খুশি।

গত সপ্তাহে তেল আবিব গিয়েছিলেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় ফার্মগুলোর প্রতিনিধিরা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী বছর দু’দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চূক্তি সাক্ষর হতে পারে।

ইসরায়েল-ভারত চেম্বারস অব কমার্সের প্রধান অ্যানেট বের্নস্টেন-রিচ বলেন, “এর অর্থ দ্বিগুণ বা তিনগুণ বাণিজ্য হবে।”