পরিবারের অমতে বিয়ে করায় ওই নারীকে ‘অনার কিলিং’ বা ‘সম্মান রক্ষার’ নামে হত্যা করে তারই পরিবারের লোকজন। গত মে মাসে ৩০ বছর বয়সী ফারজানা পারভীনকে ইট ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়।
ঘটনার সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ফারজানার বাবা, ভাই, চাচাতো ভাই এবং পারিবারিক ভাবে যার সঙ্গে ফারজানার বিয়ে ঠিক হয়েছিল ওই ব্যক্তি বুধবার এ ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। নিহতের আরেক ভাইয়ের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
ফারজানা হত্যাকাণ্ড বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছিল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এই হত্যাকাণ্ডকে ‘সম্পূর্ণ রূপে অপ্রত্যাশিত’ বলে উল্লেখ করেন।
ফারজানার এক আত্মীয় তার স্বামী ইকবালের বিরুদ্ধে তাকে অপহরণের অভিযোগে মামলা করে। ওই মামলার শুনানির জন্য ফারজানার পুরো পরিবার লাহোর হাইকোর্টে উপস্থিত হয়েছিল। যদিও ফারজানা আগেই পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি নিজের ইচ্ছাতেই বিয়ে করেছেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন ফারজানার পরিবারের ২০ জনের মতো এবং ইকবালের পরিবারের ১০-১৫ জন সদস্য আদালত প্রঙ্গনে উপস্থিত ছিল। এক পর্যায়ে দুপক্ষে মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে যায়। ওই সময় ফরজানাকে ইট দিয়ে তিনবার আঘাত করা হলে সে গুরুতর আহত হয়। পুলিশ এসে ফারজানাকে উদ্ধারের আগেই তার মৃত্যু হয়।
পাকিস্তানে প্রতিবছর শত শত নারীকে তথাকথিত ‘অনার কিলিং’ এর বলি হতে হয়। দেশটিতে ২০১৩ সালে অনার কিলিংয়ের নামে ৮৬৯ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন জড়িত থাকায় এ ঘটনার বেশির ভাগেরই কোন বিচার হয় না।