সোমবার পানরুই থানার মাক্রা গ্রামের এ সংঘর্ষের ঘটনার আরো বহু লোক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুইদিন আগে মাক্রায় বোমা উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের ছোঁড়া বোমায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিলেন। সেই একই গ্রামে এবার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হলেন।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের ধানক্ষেতের মধ্যদিয়ে দৌড়াতে ও বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করতে দেখা গেছে। গুলিতে আহত অনেককে পড়ে থাকতেও দেখা গেছে।
পুলিশের অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট আনন্দা রায় জানিয়েছেন, সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে দুজন তৃণমূলকর্মী বলে জানিয়েছে আকাশ বার্তা। অপরজনকে নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করেছে বিজেপি।
ঘটনার জন্য তৃণমূল ও বিজেপি পরস্পরকে দায়ী করেছে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল অভিযোগ করে বলেছেন, “গ্রামটি দখল করার জন্য বিজেপি এই হামলা চালিয়েছে।”
বিজেপি জেলা সভাপতি দুধ কুমার মণ্ডল এই অভিযোগকে “রাবিশ” বলে উড়িয়ে দিয়ে “লাগাম ছাড়া সহিংসতার” জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছেন।
এদিকে ২ অক্টোবরের বর্ধমান বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার নেপাল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার ২৯ বছর বয়সী ইউসুফ শেখ মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গার বাসিন্দা। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে নেপালের কাকরভিত্তা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন (জেমবি) জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এ ঘটনার সঙ্গে সন্দেহে এর আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছয়জন ও আসাম থেকে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) বর্ধমানের এই বিস্ফোরণের সঙ্গে তেলেঙ্গানার করিমনগরে এক ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে কথিত যোগসূত্রের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।