বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ নিতে চায় ভারত

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশে সরবরাহের জন্য একটি সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি ‘সার্ক পাওয়ার গ্রিড’ এর পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ভারতের একজন মন্ত্রী।    

নয়া দিল্লি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2014, 02:24 PM
Updated : 17 Oct 2014, 03:11 PM

শুক্রবার নয়া দিল্লিতে সার্ক দেশগুলোর পঞ্চম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভারতের বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, তার দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যে জলবিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে তা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের ওপর দিয়ে আফগানিস্তান পর্যন্ত সরবরাহ করা যায়। শ্রীলঙ্কার উপকূলীয় এলাকায় বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা সরবরাহ করা যায় পাকিস্তান ও নেপাল পর্যন্ত। 

‘সার্ক পাওয়ার গ্রিড’ হলে এক দেশের বাড়তি বিদ্যুৎ সহজেই সার্কের অন্য দেশের চাহিদা মেটাতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

“নদী কেবল এক দিকে বইতে পারে। আর বিদ্যুৎকে আমরা আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিকে সরবরাহ করতে পারি। আমি একটি নিরবচ্ছিন্ন সার্ক পাওয়ার গ্রিডের স্বপ্ন দেখি, যা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব। এতে কেবল সার্ক দেশগুলোর অর্থনীতিই শক্তিশালী হবে না, এ অঞ্চলের মানুষে মানুষে অংশীদারিত্বও বাড়বে।” 

এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ চাহিদার ৩০ শতাংশ আমদানিনির্ভর জানিয়ে ভারতীয় মন্ত্রী তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এগুলো হলো- প্রচলিত উৎসের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক গ্রিড গড়ে তোলা এবং বিদ্যুৎ বিক্রির বিষয়ে একটি কার্যকর চুক্তি স্বাক্ষর।  

সার্ক অঞ্চল জ্বালানির জন্য একটি বড় বাজার হলেও সরবরাহ ব্যবস্থার সমস্য এবং অঞ্চলভিত্তিক ঘাটতিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথাও তুলে ধরেন পীযূষ গোয়েল।    

তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও ভুটানের মধ্যে ১৪৫০ মেগাওয়াট, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট এবং ভারত ও নেপালের মধ্যে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।    

সরবরাহ ব্যবস্থার পাশাপাশি উৎপাদন বাড়িয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলো যাতে বিদ্যুৎ রপ্তানিকারকে পরিণত হতে পারে, সেজন্য ভারত সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন তিনি।

“সার্ক দেশগুলোর সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে আমার সরকার মনে করে একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠার মতো সুযোগ এ অঞ্চলের দেশগুলোর সামনে রয়েছে। ” 

ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে অংশ নেন।