আসিয়ার মৃত্যুদণ্ড পাকিস্তানের উচ্চ আদালতে বহাল

পাকিস্তানের একটি উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের দেয়া দেশটির এক খ্রিস্টান নারীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2014, 06:27 AM
Updated : 17 Oct 2014, 12:07 PM

আসিয়া বিবি নামের ওই নারীকে ধর্মাবমাননার কথিত অভিযোগে ২০১০ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক মুসলিম নারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময় তিনি মহানবীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন আসিয়া।

বিবিসি বলছে, আসিয়া বিবি তার মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে লাহোরের উচ্চ আদালত আপিল করলে তা খারিজ করে দিয়ে নিম্ন আদালতের দেয়া শাস্তি বহাল রাখে।

আসিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে তিনি সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

২০১০ সালে আসিয়া বিবিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়ার পর বিষয়টি বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় তোলে।

আসিয়া বিবির দণ্ডাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের দুই বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসির ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টি দু’জনেই একই বছরে দেশটির ধর্মাবমাননা আইন (ব্লাসফেমি ল) সংস্কারের দাবি তুলে নিহত হন।

নিহত পাঞ্জাব গর্ভনর সালমান তাসির

নিহত সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টি

আসিয়া বিবি বরাবরই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, একপাত্র পানি নিয়ে একদল নারীর মধ্যে বচসাকে কেন্দ্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

পাকিস্তানে ‘ধর্মাবমাননা’ খুবই স্পর্শকাতর ইস্যু। সমালোচকরা বলছেন, দেশটিতে প্রায়ই ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করার জন্য এই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর শিকার হচ্ছেন দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।

১৯৯০ দশক থেকে দেশটিতে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অবমাননাসহ ধর্মাবমাননার কথিত অভিযোগে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খ্রিস্টানকে দণ্ডিত করা হয়েছে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিম্ন আদালতে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে পরবর্তী সময়ে সেসব দণ্ড খারিজ করে দেয়া হয়েছে।