ওবামার সঙ্গে মোদীর দুদিনের আলাপ-আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার এ বিষয়ে সমঝোতা হয়।
এশিয়ায় চীনা নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে এ সমঝোতা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নিউইয়র্কে ভারতীয় এক কূটনীতিককে গ্রেপ্তার করা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক ফের সচল করে তুলতে কাজ করছেন দুনেতা।
ওয়াশিংটনের ওভাল দপ্তরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ওবামা ও মোদী বলেন, তারা বাণিজ্য থেকে শুরু করে মহাকাশ অভিযান, জলবায়ু পরিবর্তন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক স্টেট’র হুমকি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
“ইতোমধ্যেই একটি শক্তিশালী অংশিদারিত্বের ভিত্তি আছে আমাদের। এখন এর থেকে আমাদের জনগণ ও বিশ্বের জন্য সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে এর গতির পুনরুজ্জীবন ঘটাতে হবে আমাদের,” বলেন মোদী।
দুনেতার এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওবামা ও মোদী “জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা ও সমুদ্র পথে বৈধ সরবরাহ ব্যবস্থা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করা নিশ্চিত করতে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতা নিবিড় করতে একমত হয়েছেন।”
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহযোগিতা পরিকল্পনা কর্মসূচী আরো দশ বছর বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করতেও একমত হয়েছেন এ দুনেতা। চলতি বছর শেষ হওয়ার সঙ্গে দু’দেশের চলতি সামরিক সহযোগিতা পরিকল্পনা কর্মসূচীর মেয়াদও শেষ হবে।
তারা সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা ও জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে যৌথ তৎপরতা চালানোর বিষয়গুলোতে জোর দেয়ার বিষয়গুলোতেও একমত হন।
দুপক্ষের আলোচনায় সন্ত্রাসবাদ বড় ধরনের উদ্বেগ হিসেবে আলোচিত হলেও ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসলামিক স্টেট’র বিরুদ্ধে ওবামার জোটে ভারতের যোগে দেয়ার বিষয়ে যৌথ বিবৃতিতে কোনো পরিকল্পনা উল্লেখ করা হয়নি।