শনিবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বানের পানিতে শ্রীনগরের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল শ্রী মহারাজা হরি সিং বা এসএমএইচএস হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট হয়েছে। হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজারেরও বেশি রোগীর চিকিৎসা হত।
বন্যার পানি সরে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পার হলেও সেখানে স্বাস্থ্যসেবা পুরোপুরি চালু করা যায়নি।
বানের পানিতে এসএমএইচএস হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, এমআরআই মেশিন, চারটি এক্স-রে মেশিন, ইসিজি মেশিনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম বিকল হয়েছে।
এখনও হাসপাতালটির অভ্যন্তর থেকে পানি নিষ্কাশনের কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। ভবনের দেয়ালে বন্যার পানি ও কাদার আস্তরণ পড়ে আছে।
শ্রীনগরের ৭০ লাখ বাসিন্দা এখন কেবল মাত্র শের-ই-কাশ্মির ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্স বা এসকেআইএমএস হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল।
গত একশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে কাশ্মির, কয়েক সপ্তাহ পার হলেও সেখানে পরিস্থিতির পুরোপুরি উন্নতি হয়নি।
শ্রীনগরের এসএমএইচএস হাসপাতালের চিকিৎসক ওমার কিরমানি বলেন, “বন্যার আগে এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে একশ সিটি স্ক্যান, ৪০টিরও বেশি এমআরআই এবং অসংখ্য এক্স-রে এর কাজ করা হতো। কিন্তু এখন মানুষ এসব জরুরি চিকিৎসার জন্য কোথায় যাচ্ছে বলতে পারছি না।”
শ্রীনগরের সরকারি হাসপাতালগুলো পাশাপাশি বন্যার কারণে ওই অঞ্চলের ব্যক্তি মালিকানাধিন হাসপাতালগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শতাব্দির ভয়াবহতম ওই বন্যায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। বানের পানিতে বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, স্কুল কলেজ ও অন্যান্য স্থাপনা