শ্রীলঙ্কায় আক্রান্ত রোহিঙ্গারা

সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধারের পর শ্রীলঙ্কায় ঠাঁই পাওয়া ৩১ রোহিঙ্গা হামলার শিকার হয়েছেন।

শ্রীলঙ্কা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2017, 06:34 PM
Updated : 26 Sept 2017, 06:36 PM

উদ্ধারের পর মিয়ানমারের এই নাগরিকদের রাখা হয়েছিল কলম্বোর উপকণ্ঠে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার একটি ‘সেইফ হাউজে’।

এই রোহিঙ্গাদের গ্রেপ্তার করে অবৈধ অভিবাসীদের বন্দি শিবিরে পাঠানোর দাবিতে মঙ্গলবার একদল বৌদ্ধ শরণার্থীদের উপর হামলা চালায়।

পুলিশ মুখপাত্র এস পি রুয়ান গুনাসেকারা সাংবাদিকদের বলেন, একদল লোকের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিত ১৬ শিশু ও ৭ নারীসহ ওই রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছিল।

হামলার পর পুলিশ এই রোহিঙ্গাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বুসায় বন্দিশিবিরে সরিয়ে নেয়, যেখানে সাধারণত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের রাখা হয়।

তবে কলম্বোর অবৈধ অভিবাসীদের বন্দিশিবিরে স্থান না থাকায় এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো পুলিশের পক্ষ থেকে। বুসায় এই রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে রাখার কথা জানানো হলে ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তারা তা মেনে নেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমারে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে গত অগাস্টের শেষ দিকে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ঢল নামে সীমান্তে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

তবে বৌদ্ধপ্রধান শ্রীলঙ্কায় এই ৩১ রোহিঙ্গা রয়েছে গত মে মাস থেকে। সাগর থেকে তাদের উদ্ধার করেছিল শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী।

মিয়ানমার থেকে পালাতে গিয়ে সাগরে নৌকা ডুবে বিভিন্ন সময় বহু রোহিঙ্গার মৃত্যু ঘটেছে।

চলমান সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী আহ্বান জানিয়ে এলেও শ্রীলঙ্কার চরমপন্থি বৌদ্ধরা তাতে আপত্তি জানিয়ে আসছে।

বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।