জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন সামনে রেখে বিবিসির হার্ডটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সু চি এখনও সাড়া দিতে ব্যর্থ হলে তা ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ডেকে আনবে।
গত ২৪ অগাস্ট রাখাইন রাজ্যে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলার পর শুরু হওয়া ওই সেনা অভিযানে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক হারে হত্যা-ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ইতোমধ্যে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে।
মিয়ানমার সরকার সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে বলছে ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই’। বেসামরিক রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূলের চেষ্টার অভিযোগও তারা অস্বীকার করেছে।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে আসছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী সু চি; আর এই ভাষণকেই মিয়ানমারের সামরিক অভিযান বন্ধের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
গুতেরেস বলেন, মিয়ানমার যে এখনও অনেকখানি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে, তা বেশ স্পষ্ট। আর রাখাইনে যা ঘটছে, তা সেনাবাহিনীর কারণেই ঘটছে।
এই দমন-পীড়নে যে রোহিঙ্গারা দেশান্তরী হতে বাধ্য হয়েছে, তাদের নিজেদের ঘরে ফেরার সুযোগ দিতে আবারও আহ্বান জানান তিনি।
আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘ মহাসচিব হওয়ার পর ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মিলিত হচ্ছেন বিশ্বনেতারা।
দীর্ঘদিন সেনা শাসনের মধ্যে গৃহবন্দি জীবন কাটিয়ে নোবেল পাওয়া সু চির দল এনএলডি এখন মিয়ানমারের ক্ষমতায়। রাখাইনে সেনা নিপীড়ন বন্ধের পদক্ষেপ না নেওয়ায় পশ্চিমা মিত্রদের কাছেও তিনি এখন সমালোচিত হচ্ছেন।
রাখাইনের অভিযান নিয়ে ‘ভুয়া খবর’ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে আসছে বলেও অভিযোগ করেছেন সু চি। তিনি এবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না বলেও তার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।