ভারতে ১০ বছরের সেই ধর্ষিতার মামলায় নতুন মোড়

ফরেনসিক টেস্টে সদ্যোজাত সন্তানের সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির ডিএনএ না মেলায় ভারতে ধর্ষণের শিকার ১০ বছরের সেই শিশুটির মামলা নতুন মোড় নিয়েছে। ঘটনার পুনঃতদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2017, 01:20 PM
Updated : 13 Sept 2017, 01:42 PM

৩২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় প্রাণহানির ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে গত জুলাইয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট শিশুটির গর্ভপাতের আবেদন বাতিল করে।

গত মাসে চণ্ডীগড়ের এক সরকারি হাসপাতালে শিশুটি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছিল, শিশুটি ও তার সন্তান সুস্থ আছে। যদিও শিশুটির পরিবার ওই সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং শিশুটিকেও এ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

১০ বছরের ওই বালিকাকে গত সাত মাস ধরে তারই এক চাচা কয়েকবার ধর্ষণ করে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল।

৪০ বছরের ওই ব্যক্তি বর্তমানে কারাগারে আছেন। শিশু নির্যাতনের অভিযোগে বিশেষ আদালতে তার বিচার চলছে।

পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি এখন পর্যন্ত কোনও জবানবন্দি দেননি।

ধর্ষিতার সদ্যোজাত শিশুটির সঙ্গে অভিযুক্ত ওই চাচার ডিএনএ না মেলায় এখন নতুন প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি শিশুটিকে অন্যরাও নির্যাতন করেছিল?

শিশুটির বাবা এর আগে বিবিসি’কে বলেছিলেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেননি।

পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি আরও বলেছিল, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অপরাধ স্বীকার করেছে।

কিন্তু ফরেনসিক টেস্টের পর এখন বিষয়টি অনেক বেশি জটিল হয়ে পড়েছে জানিয়ে বুধবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “এখন পর্যন্ত এ ঘটনার অন্য কোনও দিকের কথা কেউ কল্পনাও করেনি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিশুটি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। নিজের জবানবন্দিতে সে স্পষ্ট করে তার চাচার নাম উল্লেখ করেছে এবং তার উপর হওয়া নির্যাতনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়েছে।”

“শিশুটির মা বলেছেন, তারা অন্য কাউকে সন্দেহ করছেন না। যে কারণে মামলাটি খুবই অদ্ভুতুড়ে রূপ নিয়েছে।”

মঙ্গলবার পুলিশ ও কাউন্সিলরা পুনরায় শিশুটির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানায় বিবিসি।

পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসি’কে বলেন, বিষয়টি নিশ্চিত হতে পুলিশ পুনরায় ফরেনসিক টেস্ট করবে।