কুচবিহার জেলার দিনহাটায় ওই পারিবারিক জমিতে অবৈধভাবে মন্দির তৈরি আটকাতে এরশাদ মমতাকে চিঠি লেখেন বলে দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দিনহাটার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এরশাদের পৈতৃক বাড়ি। সেখানেই জন্ম তার। জন্মস্থানে ‘পেয়ারাদা’ নামে পরিচিত তিনি।
১৯৪৬ সালে দিনহাটা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে রংপুর কলেজে ভর্তি হন। পরে দেশভাগের কারণে আর ফেরা হয়নি তার।
গত এপ্রিলে তিনি শেষবার বাপ-দাদার ভিটে দেখতে গিয়েছিলেন। এর আগে ২০১৫ সালেও তিনি দিনহাটায় গিয়েছিলেন।
দ্য হিন্দু বলছে, যে জায়গা নিয়ে ঝামেলা, সেখানে তার দুই ভাই এবং তাদের স্বজনরা বসবাস করেন। দিনহাটার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জায়গাটি।
গত ফেব্রুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সাবেক সেনা শাসক এরশাদ দাবি করেছেন, ওই জায়গায় বসবাস করা তার আত্মীয়রা স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও তারা এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তবে এ ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না মিললেও তাকে বিষয়টি জানাতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বিরোধী দলের চেয়ারম্যান।
সম্প্রতি দ্য হিন্দুকে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় তিনি (মমতা) এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন, কারণ এখন কেউ আর আমার স্বজনদের বিরক্ত করছে না। আমার মনে হয় মন্দির নির্মাণের কাজও বন্ধ হয়েছে।”
তবে এখনো হুমকির মুখে থাকার কথা জানিয়েছেন সেখানে বসবাস করা এরশাদের ভাতিজা জাকারিয়া হুসেইন।
তিনি বলেন, “স্থানীয় প্রভাবশালীরা ৩০ হাজার বর্গফুটের জায়গাটি দখলে নিতে চাচ্ছে। স্থানীয় একটি ক্লাবের সঙ্গে জড়িত এসব লোকজন জায়গাটি খালি করে দেওয়ার বিনিময়ে কিছু টাকাও দিতে চেয়েছিল। আমরা রাজি হইনি। আমরা এখনো পরোক্ষ হুমকির মধ্যে আছি।”
পেশায় আইনজীবী জাকারিয়ার অভিযোগ, ক্লাবটির সদস্যরা তাদের ওই জমিতে একটি আবাসিক ভবন তৈরি করতে চায়।
এ বিষয়ে কুচবিহারের পুলিশ সুপার এবং ক্লাবটির সদস্যদের কোনো বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।