মিয়ানমারের নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ আন্দামান সাগরে

শতাধিক আরোহী নিয়ে নিখোঁজ মিয়ানমারের সামরিক বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ও যাত্রীদের লাশ পাওয়া গেছে আন্দামান সাগরে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2017, 03:51 AM
Updated : 8 June 2017, 12:11 PM

বিবিসির এক প্রতিবেদেনে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার তাদের ফেইসবুক পেইজে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।

নৌবাহিনীর একটি জাহাজ প্রথমে মিয়ানমারের দক্ষিণ উপকূলের লাউংলন থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে সাগরের মধ্যে বিমানের একটি চাকা ও বিভিন্ন অংশ, বেশ কয়েকটি লাইফ জ্যাকেট এবং একটি শিশুসহ তিনজনের লাশ খুঁজে পায়।

পরে বিকেল নাগাদ লাশের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ জনে। তাদের মধ্যে ২০ জন নারী, আটটি শিশু ও একজন পুরুষ।

সেনাসদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্য মিলিয়ে ১০৬ জন আরোহী এবং ১৪ জন ক্রু নিয়ে বুধবার দুপুরে দক্ষিণের উপকূলীয় শহর মাইয়েক থেকে রাজধানী ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল চীনের তৈরি ওয়াই-এইট পরিবহন বিমানটি।

উড্ডয়নের ২৯ মিনিট পর দাভেই শহরের ৭০ কিলোমিটার পশ্চিমে আন্দামান সাগরে থাকা অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে উড়োজাহাজটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি তখন ১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল।

উদ্ধার অভিযানে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ

এই উড়োজাহাজটিই বুধবার সাগরে বিধ্বস্ত হয় (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সরবরাহ করা ছবি)

বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) পাইলটের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছিল।

মাইয়েক বিমানবন্দরে কর্মরত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা কিয়াও তেই জানিয়েছিলেন, উড্ডয়নের সময় আবহাওয়া ভালো এবং আকাশ পরিষ্কার ছিল।

যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরপরই অনুসন্ধানে নামে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও বেসমারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ এবং সেনাবাহিনীর তিনটি বিমান সাগরে অনুসন্ধান শুরু করে।

এক পর্যটন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে আন্দামান সাগরে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার খবর বুধবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এলেও তখন তা নিশ্চিত করেনি মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ।