দেউবা আবারও নেপালের প্রধানমন্ত্রী

চতুর্থবার নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2017, 02:08 PM
Updated : 6 June 2017, 02:08 PM

পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউএমএল) পার্লামেন্ট অধিবেশন চালানোয় কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করায় নির্বিঘ্নেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হয় বলে ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়।

হিমালয়ের পাদদেশের এই দেশটিতে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে নেপাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট একাই প্রার্থী ছিলেন। সিপিএন-ইউএমএলসহ অন্য দলগুলোর কোনো প্রার্থী ছিল না।

নেপালের সংবাদপত্র দি হিমালয়ান জানিয়েছে, ৫৯৩ জন পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে ৫৫৮ জন ভোট দিয়েছেন। ৩৮৮ জন দেউবার পক্ষে ভোট দেন; এদের মধ্যে নেপাল কংগ্রেস ছাড়াও তাদের জোট সঙ্গী কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী)সহ কয়েকটি দলের সদস্যরা রয়েছেন। দেউবার বিপক্ষে ভোট পদে ১৭০টি।

৭০ বছর বয়সী দেউবা দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির ৪০তম প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। তিনি এর আগে ১৯৯৫ থেকে ’৯৭, ২০০১ থেকে ’০২, ২০০৪ থেকে ’০৫ সালে তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

শের বাহাদুর দেউবা

গত মাসে মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড পদত্যাগের পর থেকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য ছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে ক্ষমতা সমঝোতার পর পদত্যাগ করেন প্রচণ্ড।

তারপর স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে বিরোধে বিরোধী দল সিপিএন-ইউএমএল পার্লামেন্ট অধিবেশন আটকে দিয়েছিল। ক্ষমতাসীনরা চারটি প্রদেশে স্থানীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে সিপিএন-ইউএমএল নরম হয়।

দেউবা বুধবারই একটি ছোট আকারের সরকার গড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে তিনি তার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করতে পারেন। মাধেশি জনগোষ্ঠীর কয়েকটি দলও তার সরকারে যোগ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

হিমালয়ান জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটির আগে পার্লামেন্টে বক্তৃতায় নিজের কাজের তিনটি অগ্রাধিকার ঠিক করার কথা জানান দেউবা।

প্রথমটি হচ্ছে, তিন স্তরের নির্বাচন ২০১৮ সালের জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন; দ্বিতীয়টি হচ্ছে, মাধেশি জনগোষ্ঠীর দাবি অনুসারে সংবিধান সংশোধন; তৃতীয়টি হচ্ছে, অর্থনীতির চাকা সচল।

বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডও বক্তৃতা করেন পার্লামেন্টে, যিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেউবার নাম প্রস্তাব করেন।