মালদ্বীপে সৌদির দ্বীপ কেনার খবরে দুশ্চিন্তায় ভারত

সৌদি আরবের কাছে মালদ্বীপের একটি দ্বীপ বিক্রির পরিকল্পনার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ভারতে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2017, 04:16 AM
Updated : 4 March 2017, 04:30 AM

নয়া দিল্লির কর্তাব্যক্তিরা প্রতিবেশী দেশটির এই পরিকল্পনাকে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখছে বলে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মালদ্বীপের আবদুল্লাহ ইয়ামিন সরকারের দ্বীপ বিক্রির সিদ্ধান্তের খবরটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এসেছে দেশটির বিরোধী দল মালদ্বীপ ডেমক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) মাধ্যমে।

দলটির নেতারা বলছেন, প্রবাল দ্বীপ ফাফু সৌদি আরবের কাছে বিক্রি করতে যাচ্ছে সরকার। বিষয়টি চূড়ান্ত করতে মালদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমন বিন আবদুল আজিজ আল সউদ।

কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এতদিন পর্যন্ত ফাফু দ্বীপ নিয়ে একটি সম্পর্ক ছিল ইরানের। তবে এখন দ্বীপের ৩০০ জন পড়ুয়াকে বৃত্তি দিচ্ছে সৌদি আরব। তার মধ্যে ৭০ শতাংশই ওহাবি মতাদর্শের মানুষ। দ্বীপের স্কুলগুলোতেও সৌদি শিক্ষকরা শিক্ষা দান করেন।

আইএএসের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থানের প্রেক্ষাপটে মালদ্বীপে ওহাবি মতাদর্শের প্রচার দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গিবাদকে উসকে দেবে বলে মনে করছেন ভারতের কর্মকর্তারা।

মালদ্বীপের এরকম একটি প্রবাল দ্বীপ কেনার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব

এমডিপি নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ নাসিম টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, ওহাবি মতাবলম্বী মানুষদের কথা মাথায় রেখেই সরকার সৌদি আরবের কাছে দ্বীপ বিক্রির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের দলের নেতা নাসিম বলেন, জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করেই সরকার দ্বীপ বিক্রি করতে যাচ্ছে।

মালদ্বীপে এতদিন বিদেশিদের জায়গা-জমি কেনার কোনো সুযোগ ছিল না। কিন্তু ২০১৫ সালে সরকার সংবিধান সংশোধন করে সেই সুযোগ তৈরি করেছে।

ভারত মহাসাগরে অনেক দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিবেশী দেশ মালদ্বীপে এখনও সফরে যাননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তবে সম্প্রতি মালদ্বীপ সফর করে দেশটির সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর।

কিন্তু নিজেদের এত কাছে সৌদি আরবের দ্বীপ কেনার পরিকল্পনার খবরে এখন মোদী মালদ্বীপ সফরে যাবেন বলে নয়া দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে আনন্দবাজার।